এই মুহূর্তে কেরালায় নির্বাচন হলে খুব সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে সিপিআইএমের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএফ)। একটি সর্বভারতীয় সংস্থার সমীক্ষায় এই দাবি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সাল থেকে কেরলে কখনও কোনো দল বা জোট পরপর দু'বার ক্ষমতায় আসেনি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এলডিএফ যদি ফের সরকার গঠন করে, তাহলে ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙে যাবে।
এশিয়ানেট নিউজ-সি ফোর সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, মোট ১৪০টি আসনের মধ্যে এলডিএফ পেতে পারে ৭২ থেকে ৭৮টি আসন। ম্যাজিক ফিগার ৭১। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ঝুলিতে যেতে পারে ৫৯ থেকে ৬৫টি আসন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩ থেকে ৭টি আসনে জয়ী হতে পারে।
৩৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, এলডিএফ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা।
২৭ শতাংশ উত্তরদাতা জনকল্যাণমূলক ভাতা এবং ১৮ শতাংশ উত্তরদাতা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকাকে সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করেছেন।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, উত্তর এবং দক্ষিণ কেরালায় এলডিএফ-এর প্রভাব বেশি এবং মধ্য কেরালায় ইউডিএফ-এর প্রভাব বেশি।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের প্রায় ৩৯ শতাংশ বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁরা পিনরাই বিজয়নকেই আবার চান। যেখানে মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ওমেন চান্ডির নাম বলেছেন। এক্ষেত্রে তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে ভোট দিয়েছেন ৯ শতাংশ মানুষ। বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজাকে ভোট দিয়েছেন ৭ শতাংশ মানুষ।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, এলডিএফ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা। ২৭ শতাংশ উত্তরদাতা জনকল্যাণমূলক ভাতা এবং ১৮ শতাংশ উত্তরদাতা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকাকে সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করেছেন। ৩৪ শতাংশ মানুষ সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হিসেবে ২০১৮ সালে শবরীমালা মন্দিরের ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন