দেশে সাক্ষরতার হার সবথেকে বেশি বাম শাসিত কেরলে। সেখানে প্রায় ৯৪ শতাংশ মানুষ সাক্ষর। সাক্ষরতার হার সবথেকে কম বিহারে। সোমবার লোকসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী একথা জানিয়েছেন।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীর শেয়ার করা তথ্য অনুযায়ী, সাক্ষরতার হার সবথেকে কম বিহারে। এই রাজ্যে মাত্র ৬১.৮ শতাংশ মানুষ সাক্ষর। এরপর রয়েছে যথাক্রমে অরুনাচল প্রদেশ (৬৫.৩ শতাংশ), রাজাস্থান (৬৬.১ শতাংশ) এবং ঝাড়খণ্ড (৬৬.৪১ শতাংশ)।
এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কেরালা (৯৪ শতাংশ)। ৯১.৮৫ শতাংশ সাক্ষরতা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মিজোরাম (৯১.৩৩ শতাংশ) এবং গোয়া (৮৮.৭ শতাংশ)। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা (৮৭.২২ শতাংশ)।
এই তালিকায় ৩৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান ১৯ নম্বরে। পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষরতার হার ৭৬.২৬ শতাংশ। এখানে পুরুষ ও মহিলাদের সাক্ষরতার হার যথাক্রমে ৮১.৬৯ শতাংশ এবং ৭০.৫৪ শতাংশ। অন্যান্য বড় রাজ্যগুলির মধ্যে গুজরাট রয়েছে ১৭ নম্বর স্থানে, ২৯ নম্বর স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ রয়েছে ২৮ নম্বর স্থানে; ২১, ২২ এবং ২৩ নম্বর স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং কর্ণাটক।
গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকায় সাক্ষরতার হারও প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামীণ ভারতে সাক্ষরতার হার ৬৭.৭৭ শতাংশ এবং শহুরে ভারতে সাক্ষরতার হার ৮৪.১১ শতাংনশ। এই সমস্ত তথ্যই ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী।
শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সাক্ষরতার হার বাড়াতে, কেন্দ্রীয় সরকার 'সাক্ষর ভারত' নামের একটি অ্যাডাল্ট এডুকেশন প্রকল্প স্পন্সর করছে। প্রকল্পটি ২৬টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪০৪টি জেলার গ্রামীণ এলাকায় বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই এলাকাগুলিতে সাক্ষরতার হার ছিল ৫০ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন