কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যতই আশ্বাস দিক না কেন, কৃষি ও কৃষি বাজারের ক্ষেত্রে একটা বড় অঙ্কের ক্ষতির আশঙ্কা করছে মধ্যপ্রদেশের কৃষি বিপণন বোর্ড। যদিও কেন্দ্র ও রাজ্য নতুন খামার আইনের সুবিধা নিচ্ছে এবং আশ্বাসও দিয়েছে যে, পাইকারি কৃষি বাজার, বা ম্যান্ডিগুলি উন্মুক্ত থাকবে। তবুও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কা করছে বোর্ড। এর কারণ, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বোর্ডের রাজস্ব যেখানে ছিল ৮৮ কোটি ডলার, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তা কমে ২৯.২6 কোটি ডলার হয়েছে, যা ৬৬ শতাংশেরও কম। আর এটা হয়েছে কেন্দ্রের ফার্মার্স প্রোডিউস ট্রেড এন্ড কমার্স ২০২০ (প্রমোশন এন্ড ফেসিলিটেশন) পাশ হওয়ার পর। যে তিনটি নতুন আইন নিজেদের উন্নতির সহায়ক নয় বলে কৃষকরা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন, তার মধ্যে একটি হলো এটা।
কৃষিমন্ত্রী কমল প্যাটেল বলেছিলেন, "আমরা মান্ডিকে একটি আদর্শ বাজার হিসাবে গড়ে তুলব। মান্ডি এবং এমএসপি (ন্যূনতম সমর্থন মূল্য) উভয়ই থাকবে। আমরা কৃষকদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি যাতে একটি ব্যাংক, পেট্রোল পাম্প, দোকান সার বীজের দোকান, মুদি সামগ্রী থাকবে। সেনাবাহিনীর ক্যান্টিনের মতো যেখান থেকে তাঁরা খুব কম দামে জিনিস ক্রয় করতে পারেন। আমরা কৃষকদের স্মার্ট কার্ড দেব, মান্ডির আয়ও বাড়বে। আমরা বেসরকারি ক্ষেত্র এবং এনজিওদের সহযোগিতা নেব।"
তবে মান্ডি বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার কথায়, তাঁরা মনে করেন রাজ্যের বাজারগুলি পুনর্জীবনের কোনও সম্ভাবনা নেই। মধ্যপ্রদেশে এই ধরনের ২৫৯টি মান্ডি এবং ২৯৮টি উপ-মান্ডি রয়েছে। তাঁরা বলছেন, কৃষি বাজারে পণ্য বিক্রির উপর ট্যাক্স কমেছে এবং কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল সরকার পরিচালিত বাজারের বাইরে নির্বিঘ্নে বিক্রি করতে পারেন। সেখানকার মান্ডি বোর্ড সমিতির সভাপতি বিবি ফৌজদার জানান, এই পরিকল্পনা কার্যকর হতে পারে ৪০টি এ-শ্রেণির মান্ডির ক্ষেত্রে। যেগুলো বেশ বড়। কিন্তু তত আয় না হলে তারা ছোট ছোট মান্ডি বন্ধ করে দেবে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, মান্ডিগুলি চালু থাকবে এবং কোনও মান্ডি বন্ধ হবে না। কিন্তু কংগ্রেস তা মানতে নারাজ। পার্টির মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেছেন, সরকার মান্ডিদের বেসরকারিকরণের চেষ্টা করছে। ৪৭টি মান্ডি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কৃষকরা এখানে তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না। তবুও সরকার একটি মল খোলার বিষয়ে কথা বলছে, কারণ তারা জমির দিকে নজর রাখছে। কৃষকদের সঙ্গে বিজেপির প্রতারণা বন্ধ করা উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন