Maharastra: উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে BJP - দাবি শিবসেনা নেতার

রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী কিশোর তিওয়ারি আরও জানিয়েছেন: "প্রতি দু’ সপ্তাহ বা তার কাছাকাছি সময়ে, বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন, অতীতের তিক্ততা ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করার অনুরোধ করেন।"
উদ্ধব ঠাকড়ে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ
উদ্ধব ঠাকড়ে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে। শুক্রবার স্থানীয় এক নিউজ চ্যানেলে কথা বলার সময় এই দাবি করেছেন শিবসেনার বিশিষ্ট নেতা কিশোর তিওয়ারি।

রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী কিশোর তিওয়ারি আরও জানিয়েছেন: "প্রতি দু’ সপ্তাহ বা তার কাছাকাছি সময়ে, বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন, অতীতের তিক্ততা ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করার অনুরোধ করেন।"

এক বেসরকারি স্থানীয় টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন - ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উদ্ধব ঠাকরের প্রধান বিরোধী দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে আসা, বিজেপিকে হতবাক করেছিলো।

শ্রী তিওয়ারি বলেন - দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে জোটসঙ্গী থাকা শিবসেনার সমস্ত দাবি মেনে নিতেও রাজি বিজেপি। যদিও শিবসেনা এখন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে রাজ্যে মহা বিকাশ আঘাডি (এমভিএ) সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি জানিয়েছেন, গত ছ’ মাসেরও বেশি সময় ধরে, ফড়নবিশ এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা ‘সমঝোতার পথে হাঁটতে’ উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকের সময় চাইছেন। বিজেপির শর্তের মধ্যে আছে উদ্ধব ঠাকরেই পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং তিনি তাঁর পছন্দমত মন্ত্রীসভা তৈরি করবেন এবং চালাবেন।

যদিও, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সব প্রচেষ্টায় জল ঢেলে গত জুনে প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন এবং স্পষ্ট করে বলেছেন যে - "আমি এনসিপি-কংগ্রেসকে কথা দিয়েছি এবং তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করব না।"

তিনি আরও জানান, "আসলে, বিরোধীদলের নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মতো মানুষরা চান আমি সেনা-বিজেপির মধ্যে মধ্যস্থতা করি এবং দুই দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাই।"

এর আগে উদ্ধব ঠাকরে সহ শিবসেনার শীর্ষ নেতারা লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপি নেতৃত্বকে "বিশ্বাসঘাতকতা এবং সমান ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের" অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।

পরবর্তীতে, বিজেপি কার্যত ঠাকরেকে 'মিথ্যাবাদী' বলে অভিহিত করে এবং দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় ২০১৯ নভেম্বরে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস-এর মহা বিকাশ আঘাদি সরকার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়।

কোনোভাবেই সফল না হয়ে, রাজভবনে এক ভোরে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হঠাৎ করে দু-ব্যক্তির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে 'একেবারে নতুন এমভিএ নষ্ট' করার চেষ্টা করেছিল। যদিও সেই মুখ্যমন্ত্রীত্বের স্থায়িত্ব ছিলো মাত্র ৮০ ঘণ্টা। " এনসিপি সভাপতি শারদ পাওয়ার, সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবং অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের দৃঢ় সংকল্পর কারণে গণতন্ত্র জয়ী হয়েছিল।

সেই বিরাট ব্যর্থতার পর, বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগতভাবে টার্গেট করছেন এবং তাদের সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় টেনে আনার চেষ্টা করেছেন।

কিশোর তিওয়ারির বক্তব্য অনুসারে, "আজ পর্যন্ত, বিজেপি ক্রমাগত এমভিএকে হয়রানি করছে, কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করছে, সেনা, এনসিপি নেতাদের বা মন্ত্রীদের এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে, এমনকি এমভিএতে যোগদানকারী প্রাক্তন বিজেপি নেতাদেরও ছাড় দিচ্ছে না। তিন দলের জোট ভাঙার জন্য বিজেপি এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

- with inputs from IANS

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in