‘ন্যায়’ চেয়ে আন্দোলনরত তারকা কুস্তিগীরদের সমর্থন জানিয়েছেন দেশের সংখ্যাধিক্য মানুষ। মঙ্গলবার, সংবাদ সংস্থা আইএএনএস (IANS) এবং সি-ভোটার (CVoter)-এর এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুসারে, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, বিজেপি সাংসদ তথা ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ এনেছেন তারকা কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়ারা - তা সত্য।
এর বিপরীতে, ১৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ সত্য নয়। ‘নিজেকে নির্দোষ’ বলে যে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ, সেটাই সঠিক।
আবার এই ইস্যুতে, আন্দোলনরত তারকা কুস্তিগীরদের দাবিকে ‘সত্য’ বলে জানিয়েছেন ৫৪ শতাংশেরও বেশি এনডিএ তথা বিজেপি সমর্থক। ২৫ শতাংশ এনডিএ সমর্থক ব্রিজ ভূষণের দাবিকে ‘সত্য’ বলে মনে করেন। কোনও মতামত দেয়নি ২০ শতাংশেরও বেশি এনডিএ সমর্থক।
CVoter সমীক্ষায় এক প্রশ্নে জনগণের কাছে জানতে চাওয়া হয় - কুস্তিগীরদের সঙ্গে ব্রিজ ভূষণের যে বিরোধ চলছে, সে সম্পর্কে তাঁদের অভিমত কী?
সমীক্ষায় ৬৩ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা মনে করেন, এটি মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশের লড়াই। মাত্র ৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন - চলমান এই আন্দোলন হল কুস্তিগীর ও WFI-এর মধ্যে আধিপত্যের লড়াই। অন্যদিকে, ২০ শতাংশেরও কম উত্তরদাতা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক লাভের জন্য কুস্তিগীরদের ব্যবহার করছে বিরোধী দলগুলি।
গত ১৮ জানুয়ারি, WFI প্রেসিডেন্ট ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন দেশের তারকা কুস্তিগীররা। ন্যায় বিচার ও ব্রিজ ভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেন তাঁরা। মাঝে ধরনা তুলে দিলেও গট ২৩ এপ্রিল থেকে সেই আন্দোলন আবার শুরু হয়।
এই আন্দোলন দমাতে গত ৩ মে, গভীর রাতে যন্তর মন্তরে অবস্থানরত কুস্তিগীরদের উপর আচমকাই হামলা চালায় দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ ওঠে এসময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল পুলিশ। কুস্তিগীরদের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতিতেও জড়ায় দিল্লি পুলিশ। এমনকি, এই আক্রমণে দুই আন্দোলনকারী আহত হন।
এই রেশ না কাটতেই, গত ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া সহ সমস্ত আন্দোলনকারী কুস্তিগীরকে রাস্তায় হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। কুস্তিগীরদের আটক করা হয়। এমনকি, বিভিন্ন ধারায় তাঁদের নামে অভিযোগও দায়ের করা হয়। গত ১ জুন থেকে যদিও ডিউটিতে যোগ দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ন্যায় না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন