প্রতি বছরই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সম্মান নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণার সাথে সাথেই তাদের সাদা-কালো-সোনালী আভা মেশানো ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এই ছবি কিন্তু আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে বানানো হয় না। নোবেল কমিটির তরফে বিজয়ীদের যে ছবি প্রকাশ করা হয় তা কিন্তু হাতেই আঁকা। কয়েকটি রেখার সাহায্যে নোবেল জয়ীদের মুখ যিনি ফুটিয়ে তুলছেন, তিনি হয়তো রয়ে গিয়েছেন পর্দার আড়ালে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানবো সেই মানুষটি সম্পর্কে, যার রং তুলির টানে নোবেল বিজয়ীদের ছবি প্রাণ পায়।
ঘোষণার আগেই নোবেল জয়ীদের নাম জানতে পারেন নিকোলাস এলমেহেদ। কারণ, এই সুইডিশ ফ্রিল্যান্সারকেই আঁকতে হয় নোবেল জয়ীদের ছবিগুলি। প্রতিভাবান এই ব্যক্তি ২০১২ সাল থেকে নোবেল মিডিয়ায় যোগ দেন। সে বছরই প্রথম নোবেল জয়ীদের হাতে আঁকা ছবি প্রকাশ করা হয়। আর এই কাজটি করেছিলেন এলমেহেদ। তার কারণ, নোবেল প্রাপকদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাচ্ছিলো না। আর সেবছর থেকেই ঠিক হয়, এখন থেকে সব নোবেলজয়ীদের ছবি হাতেই আঁকা হবে। প্রায় ১১ বছর ধরে এই কাজটি করে চলেছেন এলমেহেদ।
প্রথমে নীল আর হলুদ রঙের মাধ্যমে নোবেল জয়ীদের মুখ ফুটিয়ে তুলতেন নিকোলাস। ২০১৭ সাল থেকে সাদা-কালো মাধ্যমের সঙ্গে ধাতব ফয়েল দিয়ে সোনালী আভা ফুটিয়ে তোলা হয়। এই বছর নোবেল কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নোবেল বিজয়ীদের নাম সোনালী রংএ প্রকাশ করা হবে। এলমেহেদ পোট্রেটেও সেই রং ব্যবহারের কথা জানান। এই সোনালী রং নোবেল পুরস্কারের অভিজাত্যকে প্রকাশ করে।
নিকোলাস অবশ্য প্রচারের আড়ালে থাকতেই ভালোবাসেন। তিনি ঠিক কতক্ষণ আগে নোবেল বিজয়ীদের নাম জানতে পারেন, সে সম্পর্কেও কোনোদিন মুখ খোলেননি। এক সাক্ষাৎকারে, জানিয়েছিলেন, প্রতিটি ছবি তৈরি করতে তাঁর কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন