Mehrauli Murder: দুর্গন্ধ এড়াতে ধূপকাঠি, টুকরো টুকরো দেহাবশেষ রাখা হয়েছিল ফ্রিজে!

সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, হত্যাকান্ডের পর "আফতাব শ্রদ্ধার ফোনটিও ফেলে দিয়েছে এবং পুলিশের তদন্তকারী দল এখনও পর্যন্ত ওই মোবাইল ফোনের শেষ অবস্থান খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
নিহত শ্রদ্ধা
নিহত শ্রদ্ধাফাইল ছবি আইএএনএস ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

দিল্লিতে লিভ ইন সঙ্গীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ নিহত শ্রদ্ধা এবং খুনের অভিযুক্ত আফতাবের এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্র অনুসারে, শ্রদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে এই বন্ধু (আমিন পুনাওয়ালা) শ্রদ্ধার বাবাকে বিষয়টি জানায়।

সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, হত্যাকান্ডের পর "আফতাব শ্রদ্ধার ফোনটিও ফেলে দিয়েছিল এবং পুলিশের তদন্তকারী দল এখনও পর্যন্ত ওই মোবাইল ফোনের শেষ অবস্থান খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এই মোবাইল উদ্ধার করা গেলে আরও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে হত্যা করার পর আততায়ী বান্ধবীর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে এবং তা সংরক্ষণ করার জন্য পরের দিন বড় স্টোরেজ ক্ষমতা সহ একটি নতুন ফ্রিজ কেনে এবং তাতে দেহাবশেষ সংরক্ষণ করে। মৃতদেহের দুর্গন্ধ এড়াতে বাড়িতে প্রচুর ধূপকাঠিও জ্বালানো হত।

আফতাব আমেরিকান ক্রাইম শো 'ডেক্সটার' থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে বলে জানা গেছে। যে শো-তে নরহত্যার প্রবণতার সাথে দ্বৈত জীবনযাপনকারী একজন ব্যক্তির কাহিনি বলা হয়।

সূত্র অনুসারে, একজন প্রশিক্ষিত শেফ হওয়ার কারণে আফতাব ছুরি ব্যবহারে পারদর্শী ছিল। যদিও অপরাধে ব্যবহৃত ছুরিটি এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।

জানা গেছে, ১৮ দিনের বেশি সময় ধরে মেহরৌলির জঙ্গলে লাশের টুকরো ফেলেছিলেন। সন্দেহ এড়াতে, তিনি রাত ২টার দিকে একটি পলিব্যাগে দেহের একটি অংশ নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতেন।

গত ৮ নভেম্বর নিহত শ্রদ্ধার বাবা সহ মহারাষ্ট্রের পালঘর থেকে একটি অনুসন্ধানকারী দল এসে মেহরৌলি থানায় এই বিষয়ে খোঁজখবর করার পর পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in