পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসিকে ভারতে ফেরানো নিয়ে এবারে জোরকদমে শুরু হয়ে গেল আইনি মারপ্যাঁচ। অ্যান্টিগা সরকারের পূর্ণ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মেহুলকে দেশে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ডোমিনিকা থেকে সরাসরি ফেরার হিরে ব্যবসায়ীর ভারতে ফেরা নিয়ে এখনও রীতিমতো সংশয় রয়েছে। অন্তত আগামী ২ জুন পর্যন্ত তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, ভারতের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ পদ্ধতি বরাবরই অসফল প্রমাণিত হয়ে এসেছে। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যসভায় ৭২ জন পলাতককে প্রত্যর্পণ করানোর বিষয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্র এই অসফলতার বিষয়ে স্বীকার করে নেয়। ২০১৯ সালে একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তির কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, মাত্র ২ জন পলাতককে ভারতে ২০১৫ সালে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
আইপিএল আয়োজন করে বিসিসিআই-এর সঙ্গে ৭৫৩ কোটি জালিয়াতি করে ২০১০ সালে ভারত থেকে পালিয়ে যান ললিত মোদি। ইডি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার ঠিক আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বিদেশে গা ঢাকা দেন ললিত। রেড কর্ণার নোটিস জারি করার সিবিআইয়ের আবেদনের সাড়া দেয়নি ইন্টারপোল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, লন্ডনে রয়েছেন ললিত মোদি।
এরপর পিএনবি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত নীরব মোদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চোখে ধুলো দিয়ে ২০১৭ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন। সেখানকার আদালতে নীরব মোদি মামলা হেরে যাওয়ায় তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণে বাধা কেটে গেলেও নীরব মোদি ফের তাঁর প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে নতুন করে আদালতে মামলা করেছেন।
অর্থাৎ, ফের একবার তাঁর প্রত্যর্পণ আটকে গিয়েছে। আর এবার, হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে বাগে পেয়েও ভারতে প্রত্যর্পণে নানারকম সমস্যার মুখে পড়ছে কেন্দ্র।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন