২০২৩ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন (NMP) এর উপর আরও বেশি ফোকাস করতে চলেছে কেন্দ্র। আরও বেশি পরিমানে বিলগ্নিকরণই হল উদ্দেশ্য। এয়ার ইন্ডিয়ার বিক্রি, LIC IPO কেন্দ্রের বিলগ্নিকরণ উদ্যোগে আরও বাড়তি মাইলেজ দেবে বলেই আশা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এছাড়াও বিপিসিএল (BPCL) বিলগ্নিকরণও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র।
এমকে গ্লোবালের প্রধান ইকোনমিস্ট মাধবী অরোরা বলেছেন – “বিপিসিএল-এর সম্ভাব্য বিলগ্নিকরন সহ প্রায় ৮০০ বিলিয়ন টাকারও বেশি সম্পদ NMP-এর অধীনে আসতে চলেছে। সরকার যদি আবার ২০২৩ অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা রাখে তাহলে আমরা মোটেও অবাক হব না। আমরা অনুমান করছি LIC IPO ২০২২ অর্থবর্ষেই আনা হবে।”
২০২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্র ১.৭৫ ট্রিলিয়ন টাকাবিলগ্নিকরণের লক্ষ্য রেখেছিল। যদি, আগামী দুই মাসের মধ্যে LIC IPO সম্পূর্ণ না হয়, তাহলে লক্ষ্যপূরণ করা সম্ভব নয়। অ্যাকুইট রেটিং অ্যান্ড রিসার্চের চিফ অ্যানালিটিকাল অফিসার সুমন চৌধুরীর কথায় – “আমরা আশা করছি যে সরকার বিলগ্নিকরণের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখবে। যদি এলআইসি আইপিও স্থগিত করা হয়, তাহলে আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেটকৃত বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা স্পষ্টতই বেশি হবে।”
প্রসঙ্গত, দেশের পরিকাঠামোর উন্নয়নে দেশের আয় বৃদ্ধির জন্য কী কী বিক্রি করতে চলেছে কেন্দ্র, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। রেল, তেল, সড়ক, গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দর, টেলিকম, স্টেডিয়াম সহ একাধিক ক্ষেত্র এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। এই তালিকায় ফলাও করে একটি নামও দেওয়া হয়েছে, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন (NMP)।
এনএমপিতে বলা হয়েছে, চারটি পদ্ধতিতে সম্পদ বিক্রি হবে। প্রথমত, বাজারদর, দ্বিতীয়ত, পিপিপি পথে, তৃতীয়ত, খাতায় কলমে যে দাম রয়েছে, চতুর্থত, কত আয় হয় তার ভিত্তিতে। রেলের পরিকাঠামো বিক্রি করে তোলা হবে ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। ৪০০টি স্টেশন, ১৫০টি ট্রেন বিক্রি করা হবে। ১৫টি রেল স্টেডিয়াম, রেলের ২৪৪ কিলোমিটার লাইন, কোঙ্কন রেলওয়ের ৭৪২ কিলোমিটার লাইন বিক্রি হবে। বিক্রির তালিকায় আছে সড়ক পরিকাঠামো, পেট্রোপণ্য, বিভিন্ন বন্দরও।
- Inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন