বেশি শ্রম, অথচ মজুরি কম। এই মর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন ভারতীয় শ্রমিকরাই। আইএলও গ্লোবাল ওয়েজ রিপোর্ট ২০২০-২১ থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে। কেন্দ্র শ্রম আইন তুলে যে শ্রম কোড আইন করেছে তাতে শ্রমিকদের খাটনি কমেনি, মজুরিও বাড়েনি। ১২ ঘণ্টা করে সপ্তাহে চারদিন কাজ করতে হবে। তাছাড়া এই দেশে ন্যূনতম মজুরিও কমে গিয়েছে।
ওই রিপোর্ট অনুসারে, করোনা মহামারীর জেরে গত এক বছরে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। যাঁরা এখনও কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের কাজের পরিমাণ বেড়েছে। পাশাপাশি অনেক জায়গাতেই তাঁদের মজুরিও কমে গিয়েছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মঙ্গোলিয়া, মালদ্বীপ, কাতারের মতো দেশে ভারতীয় শ্রমিকের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। তাঁদের কাজও বেশি। কিন্তু সেই অনুপাতে তাঁদের শ্রম মজুরি অনেকটাই কম। বেশি সময় কাজ করা দেশগুলির নিরিখে ভারতের স্থান বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম।
২০২০-২১ সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকার থেকেও ভারতীয় শ্রমিকদের মজুরি কম। নীচে রয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ সেখানে ন্যূনতম মজুরি ৪৮ ডলার। সমীক্ষা বলছে, ভারতের গ্রামের তুলনায় শহুরে শ্রমিকদেরই বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয়। স্বনিযুক্তি প্রকল্পের শ্রমিকদের সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা আর শহরে শ্রমিকদের সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়। কেন্দ্রের নতুন আইন অনুযায়ী, চারদিনের সপ্তাহ করা হয়েছে তাতে ৪৮ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
এদিকে ইউরোপ ও অন্যান্য উন্নত দেশে সপ্তাহে ৫ দিন করে শ্রমিকরা কাজ করলেও ভারতে সপ্তাহে ছ'দিন করে কাজ করতে হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
আইএলও রিপোর্ট বলছে, দেশের বেতনভোগী ১০জন শ্রমিকের মধ্যে সাতজন শ্রমিকের কোনও নিয়োগপত্র নেই। সবেতন ছুটিও মেলে না। ছুটি নিলে কাটা যায় বেতন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন