সবথেকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মী রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরে। তারপর রয়েছে রেল এবং ব্যাংক। কেন্দ্রের ভিজিল্যান্স কমিশনের বার্ষিক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। এই কমিশন কেন্দ্রের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে।
সম্প্রতি ২০২২ সালের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভিজিল্যান্স কমিশন। গত বছর সমস্ত দপ্তর মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২০৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৬ হাজার ৬৪৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে। রেলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ১০ হাজার ৫৮০টি এবং ব্যাঙ্কের কর্মীদের বিরুদ্ধে ৮ হাজার ১২৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগগুলি মূলত ঘুষ, বেআইনি লেনদেন, বেআইনি অর্থপাচার সংক্রান্ত।
মোট অভিযোগের মধ্যে ৮৫ হাজার ৪৩৭টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি ২৯ হাজার ৭৬৬টি মামলা এখনও পেন্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে আবার ২২ হাজার ৩৪টি মামলা ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে। নিষ্পত্তি না হওয়া মামলাগুলির মধ্যে আবার ২৩ হাজার ৯১৯টি মামলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।
গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি দিল্লি অর্থাৎ দিল্লি সরকারের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৭০টি। আবাসন ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ৭১০টি মামলা জমা পড়েছে। কয়লা দপ্তরে ৪ হাজার ৩০৪টি, শ্রম মন্ত্রকের ৪ হাজার ২৩৬টি এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কর্মীদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৬১৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস-এর কর্মীদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ১৫০টি; প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৬১৯টি, টেলিকমিউনিকেশন কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৩০৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এছাড়াও অর্থ মন্ত্রকের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজার ২০২টি। বীমা সংস্থাগুলিতে কর্মরতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে ৯৮৭টি।
আবার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলে, দপ্তর অনেকসময় তা করেনা বলেও দাবি করেছে ভিজিল্যান্স কমিশন। গত বছর এমন ৫৫ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দপ্তর, যার মধ্যে অধিকাংশই রেল দপ্তরের অধীনে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন