মহামারী আবহে এখনও বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না অভিভাবকরা। নিজেদের জেলায় সংক্রমণের হার না কমা পর্যন্ত এবং প্রত্যেকটি বাচ্চার টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনও অভিভাবকই নিজেদের সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। পরিসংখ্যান দেখলে, দেশে এইসব অভিভাবকদের পরিমাণ ৭৬ শতাংশ।
স্থানীয় এলাকায় সমীক্ষা করে জানা গিয়েছে, গত ৪ মাসে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ইচ্ছুকের পরিমাণ ৬৯ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজেদের সন্তানদের কোভিড টিকাকরণ হলে ৬৫ শতাংশ অভিভাবকরা তাঁদের শিশুদের স্কুলে পাঠাবেন।
চলতি সপ্তাহেই স্থানীয় প্রশাসনগুলো জানিয়ে দিয়েছে, এখনও একটি বড় অংশের মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে এখনও স্কুল খোলা সম্ভব নয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর দেখা গিয়েছে, ছোট বাচ্চা এবং শিশুরাও সংক্রমিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খুললে সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যেতে পারে, যেখানে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তা জারি হয়ে গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে একটি জেলায় প্রায় ৮ হাজার শিশু করোনা পজিটিভ হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই। সম্প্রতি, মেধালয়ে শূন্য থেকে ১৪ বছরের মধ্যে ৫ হাজার বাচ্চা করোনা আক্রান্ত হয়েছে। প্রথম ঢেউয়ের সময় মাত্র ৪ শতাংশ বাচ্চা সংক্রমিত হয়েছিল। যা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ১০ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হার খুবই কম।
এদিকে, বাচ্চাদের জন্য টিকাকরণ পদ্ধতি এখনও ট্রায়াল পর্যায়তেই রয়েছে। সেই কারণেই বাচ্চাদের নিয়েই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বেশি। সেরাম ইনস্টিটিউট আগামী জুলাই মাসেই বাচ্চাদের জন্য নোভ্যাভ্যাক্স ট্রায়াল শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন