মাল্টিডায়মেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স (এমপিআই)-এ নীতি আয়োগ রিপোর্ট অনুসারে কেরালা আবারও বাকি ভারতকে পথ দেখিয়েছে। নীতি আয়োগ প্রকাশিত এমপিআই সামনে আসার পর শনিবার এক ট্যুইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
এদিনের ট্যুইটে ইয়েচুরি আরও বলেন, সর্বভারতীয় এমপিআই ২৭.৯%। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে: বিহার ৫১%, উত্তরপ্রদেশ ৩৭%, মধ্যপ্রদেশ ৩৬%। কেরালার ১% এর নিচে উজ্জ্বল অবস্থান। মোদি কি শিখবেন?
উল্লেখ্য, নীতি আয়োগ কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত মাল্টিডায়মেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স (এমপিআই) অনুসারে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সবথেকে দারিদ্র্য কম কেরালায়। সম্প্রতি এই ইনডেক্স প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকা অনুসারে কেরালার কোট্টায়াম জেলায় দারিদ্র্য হার শূন্য।
কেরালার ১৪ জেলার মধ্যে ওয়াইনাডে দারিদ্র্যের হার সবথেকে বেশি। ৩.৪৮%। অন্যান্য জেলার মধ্যে এরনাকুলামে ০.১০%, কোঝিকোড়ে ০.২৬%, ত্রিশূরে ০.৩৩%, কান্নুরে ০.৪৪%, পালাক্কাডে ০.৬২%, আলাপুঝাতে ০.৭১%, কোল্লামে ০.৭২% এবং পাঠানামিঠিট্টাতে ০.৮৩%। ১ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ-র মধ্যে দারিদ্র্য হার কাসারগড় (১%), থিরুবনন্তপুরমে ১.০৮%, মালাপ্পুরামে ১.১১% এবং ইদুক্কিকে ১.৬%।
নীতি আয়োগ ঘোষিত এই সূচক প্রকাশিত হবার পর বাম শাসিত কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, এই সাফল্য বাম সরকারের সাফল্য। সামাজিক সুরক্ষায় কেরালার বাম সরকারের অঙ্গীকারের ফলেই এই সাফল্য এসেছে।
নীতি আয়োগ প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুসারে কেরালার দারিদ্র্যের হার ০.৭১%। গোয়ায় এই হার ৩.৭৬%, সিকিমে ৩.৮২%, তামিলনাড়ুতে ৪.৮৯% এবং পাঞ্জাবে ৫.৫৯%।
এই তালিকায় সবথেকে নীচের দিকে স্থান হয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের। তালিকার সব থেকে নীচে থাকা বিহারে দারিদ্র্যের হার ৫১.৯১%, ঝাড়খন্ডে এই হার ৪২.১৬% এবং উত্তরপ্রদেশে ৩৭.৭৯%। মধ্যপ্রদেশে এই হার ৩৬.৬৫%, মেঘালেয় এই হার ৩৬.৬৫%। এই চার রাজ্যের মধ্যে বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ বিজেপি শাসিত।
অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ওপিএইচআই) এবং ইউনাইটেড নেশনস ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর পদ্ধতি মেনে নীতি আয়োগ এই সমীক্ষা চালিয়েছে। মূলত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনযাত্রার মানের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এছাড়াও যে ১২টি ক্ষেত্রর এই সমীক্ষায় মূল্যায়ন করা হয়েছে কেরালা এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে। যার মধ্যে আছে পুষ্টি (১৫.২৯%), শিশু মৃত্যুর (০.৯১%), প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যু (১.৭৩%), স্কুলে যাওয়া (১.৭৮%), স্কুলে উপস্থিতির হার (০.৫৪%), জ্বালানির ব্যবহার (৪৩.৮৯%), শৌচাগারের সুবিধা (১.৮৬%), পানীয় জল (১০.৭৬%), বিদ্যুৎ (০.৭৪%), বাড়িঘর (১০.৭৬%), সম্পদ (২.৯৪%), ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (৪.৩২)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন