যাদের সম্পত্তি ছিল প্রায় সাত কোটি টাকারও বেশি। ২০২১- এ মহামারীর সময় সেই সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ১১ শতাংশ। দেশের এই কোটিপতিদের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার। শুধু কলকাতাতেই সেই সংখ্যা ১০,৫০০। ওই সময় দেশের প্রায় ৪.৬ কোটি নাগরিক নেমে গিয়েছেন অত্যন্ত গরীব স্তরে। হুরুন রিপোর্ট গোষ্ঠী সমীক্ষা চালিয়ে এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে। এদিকে দেশে আয় কমেছে ৮৬ শতাংশ মানুষের। অন্যদিকে এই কোটিপতিরা তিন বছর অন্তর গাড়ি বদলান। কেনেন বিদেশি দামী ঘড়ি।
এর আগে অক্সফ্যাম রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, দেশের একশো জন ধনীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫৭.৩ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ এর নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের মিলিওনেয়ারদের সম্পদ ২৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৩.১৬ লক্ষ কোটি। বিশ্বের নতুন দরিদ্রদের প্রায় অর্ধেকই ভারতের। এ দেশে দরিদ্র বৃদ্ধির হার উপসাহারীয় অঞ্চলে থেকেও বেশি। দেশবাসীর নীচের ৫০ শতাংশ মানুষ জাতীয় সম্পদের মাত্র ৬ শতাংশের মালিক।
শহরের হিসেবে দেখা গিয়েছে, (ডলার) মিলিওনেয়ারের জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি মুম্বইয়ে, ২০,৩০০ জন। দিল্লিতে ১৭৪০০। তারপর রয়েছে কলকাতা। আগামী ২০২৬- এর মধ্যেই সংখ্যা ৩০ শতাংশ বাড়বে। পৌঁছে যাবে ৬ লক্ষে। সমীক্ষা বলছে, এঁরা সমাজে দানমূলক কাজের জড়ান না। কর দিতেও বিশেষ পছন্দ করেন না।
সাত কোটি মালিকদের মধ্যে ৩৫০ জনের মতামতের ভিত্তিতে সমীক্ষা চালিয়েছে হুরুন। সামাজিক খাতে অর্থ বরাদ্দ করতে মাত্র ১৯ শতাংশের সম্মতি রয়েছে। দুই তৃতীয়াংশ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠাতে আগ্রহী। এরা পছন্দ করে জার্মানির মার্সিডিজ বেনজ গাড়ি। ঘড়ি পছন্দ করেন রোলেক্স। হুরুনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান, আগামী কয়েক বছরে ভারতে বিদেশি ব্র্যান্ডের জিনিসের রমরমা বাজার বৃদ্ধি পাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন