দেশের একমাত্র শহর কলকাতা, যেখানে ট্রাম চলত। কিন্তু করোনাকালের পর থেকে শহরে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে ট্রাম চলাচল। হাতেগোনা দু’টি রুটে ট্রাম চালানো হলেও তা অনিয়মিত। তবে এবার পাকাপাকিভাবে ১৫০ বছরের ইতিহাসে দাঁড়ি পড়তে চলেছে। শহর কলকাতায় কার্যত বন্ধের মুখে ট্রাম। মডেল হিসাবে মাত্র একটি রুটেই ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার এমনই ঘোষণা করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
সোমবার ট্রামে করে পুজো পরিক্রমা বন্ধের কথা ঘোষণা করতে গিয়েই ট্রাম বন্ধের ঘোষণা করেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, “ট্রামকে স্মারক হিসেবে রাখা হবে। চলবে গড়ের মাঠে ধর্মতলা থেকে ময়দান পর্যন্ত। ওই ট্রাম খিদিরপুর পর্যন্তও নিয়ে যাওয়া হবে না।“ উল্লেখ্য, গত বছর সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে এসপ্ল্যানেড-শ্যামবাজার এবং এসপ্ল্যানেড-গড়িয়াহাট রুটে এসি-ট্রামে চেপে প্রতিমা দেখার ব্যবস্থা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম।
সোমবার মন্ত্রী বলেন, “এসপ্লানেড থেকে ময়দান পর্যন্ত হেরিটেজ আকারে একটি সুসজ্জিত ট্রাম থাকবে। যাঁরা কলকাতায় আসবেন তাঁরা চাপবেন। হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে। কোর্টও জানতে চেয়েছে আমাদের সিদ্ধান্ত। তা আমরা জানাব। জয়রাইড বাদ দিয়ে বাকি কোনও রুটে ট্রাম চলবে না। লাইনও তুলে ফেলব। রাস্তা বাড়েনি। গাড়ি বেড়েছে। তাই যানজট হচ্ছে। এভাবে ট্রাম চালানো অসম্ভব।”
উল্লেখ্য, শহরে ট্রাম পরিষেবা চালু রাখার দাবিতে ক্যালকাটা ট্রাম ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় রাজ্যের সিদ্ধান্ত জানতে চায় আদালত।
প্রসঙ্গত, করোনাকালের পরে শহর কলকাতায় ট্রাম চলত বালিগঞ্জ-ধর্মতলা এবং শ্যামবাজার-ধর্মতলা রুটে। তবে সেটাও ছিল অনিয়মিত। এবার সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হল রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে। এবার থেকে শুধু এসপ্লানেড-ময়দান পর্যন্ত মডেল হিসাবে চলবে ট্রাম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন