অরুণাচল প্রদেশে স্নো লেপার্ডের সংখ্যা এখন ৩৬। মঙ্গলবার অরুণাচল প্রদেশের বনমন্ত্রী ওয়াংকি লোয়াং এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। ডব্লিউডব্লিউএফ ইন্ডিয়া-এর সহযোগিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগ (ডিওইএফসিসি) এই সমীক্ষাটি করেছে। রাজ্যের মোট স্নো লেপার্ডের ভিত্তিরেখা প্রদান করে এই সমীক্ষাটি।
স্নো লেপার্ড, যার বিজ্ঞান সম্মত নাম Panthera uncia, ট্রান্স-হিমালয় এলাকার শিকারী। এই প্রজাতির সঙ্গে হিমালয় সম্প্রদায়ের স্থানীয় লোককাহিনী, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যগুলির একটি উচ্চ তাৎপর্য রয়েছে। ২০০৮ সালে ভারত সরকার উচ্চ-উচ্চতায় অবস্থিত বন্যপ্রাণীদের সংখ্যা এবং তাদের আবাসস্থলগুলির অনন্য প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য ‘স্নো লেপার্ড’ নামে একটি প্রকল্প চালু করে।
আধ্যাত্মিক তাত্পর্যের টোটেমিক প্রতীক হিসাবে অরুণাচল প্রদেশের বেশিরভাগ উপজাতির মধ্যে বিড়াল প্রজাতির একটি বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। বন্যপ্রাণী গবেষণা এবং সংরক্ষণের দৃষ্টিকোণ থেকে অরুণাচল প্রদেশের উচ্চ অঞ্চলগুলি এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। নির্জন স্থানে থাকা শান্ত, সুন্দর স্নো লেপার্ড সবচেয়ে রহস্যময় বাঘগুলির মধ্যে একটি। স্নো লেপার্ড ‘পাহাড়ি ভূত’ হিসাবেও পরিচিত।
ভারতে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে স্নো লেপার্ড দেখা যায়। অরুণাচল প্রদেশে প্রায় ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে স্নো লেপার্ডের সম্ভাব্য আবাসস্থল। তবে এখনও পর্যন্ত স্নো লেপার্ডের অবস্থার কোনও নির্দিষ্ট মূল্যায়ন নেই।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালে স্নো লেপার্ডের সংখ্যা মূল্যায়নের জন্য একটি প্রকল্প শুরু করেছে ডিওইএফসিসি (ডিপার্টমেন্ট অফ এনভায়রনমেন্ট ফরেস্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ)। এটিই প্রথম গবেষণা যা রাজ্যে স্নো লেপার্ডের সংখ্যার মূল্যায়ন করার চেষ্টা করে। এবং এদের সম্পূর্ণ সম্ভাব্য আবাসস্থল সংরক্ষণ করে। ওই বিভাগটি ২০২১ সালের ২৪ জুন থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ১১৫ টি আবাসস্থল সংরক্ষণ করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন