১৯ মে, ২০২৩-এর সরকারি নির্দেশিকা জারির পর নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোটের ৯৭.২৬ শতাংশ ফেরত এসেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার একথা জানিয়েছে। যে সময় ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেবার কথা জানানো হয় সেইসময় বাজারে ছড়িয়ে থাকা ২০০০ টাকার নোটের অর্থমূল্য ছিল ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা বর্তমানে ৯,৭৬০ কোটিতে নেমে এসেছে।
২,০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট জমা বা বিনিময়ের সুবিধা প্রাথমিকভাবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ক শাখায় চালু থাকলেও, পরে তা বাড়িয়ে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আরবিআই-এর তথ্য অনুসারে বাজার থেকে ২০০০ টাকা তুলে নেবার চূড়ান্ত সময়সীমা পেরিয়ে যাবার পরেও এখনও বাজারে রয়ে গেছে ২.৭ শতাংশ নোট।
সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বৈধ বলে জানিয়েছে আরবিআই। কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে ২০০০ টাকার নোট থেকে গেলে তা আরবিআই-এর নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে বদলে নেওয়া যাবে। RBI-এর ১৯ টি ইস্যু অফিসেই ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট বিনিময়ের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এই ১৯টি অফিস হল আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, বেলাপুর, ভূপাল, ভুবনেশ্বর, চন্ডীগড়, চেন্নাই, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, জয়পুর, জম্মু, কানপুর, কলকাতা, লখনৌ, মুম্বাই, নাগপুর, নিউ দিল্লি, পাটনা এবং থিরুবনন্তপুরম।
কাউন্টার জুড়ে ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট বিনিময় করার পাশাপাশি, আরবিআই অফিসগুলি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার জন্য ব্যক্তি অথবা সংস্থার কাছ থেকে ২০০০ টাকার নোট জমা নিচ্ছে।
দেশের ভেতরে ভারতীয় নাগরিকরা যে কোনও পোস্ট অফিস থেকে ইন্ডিয়া পোস্টের মাধ্যমে আরবিআই-এর অফিসে বদল করার জন্য ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট পাঠাতে পারেন। বদলের পর এই টাকা সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণার পর বাজারে আসে ২০০০ টাকার নোট এবং নতুন ৫০০ টাকার নোট। যদিও ২০১৮-১৯ আর্থিক বছর থেকে ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগেই ২০০০ টাকার নোট জালের অভিযোগ উঠেছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন