মহামারী শিশুমনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, দেশে রোজ আত্মহত্যা করছে ৩১ জন নাবালক - পরিসংখ্যান

২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ৯ হাজার ৬১৩ অর্থাৎ পরের বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ শতাংশ।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

এদেশে গড়ে প্রতিদিন ৩১ জন করে নাবালক আত্মঘাতী হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যানে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোভিড অতিমারী শিশুমনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, যার জেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য বলছে, গত বছর ১১ হাজার ৩৯৬ জন অর্থাৎ দিনে ৩১ জন নাবালক আত্মঘাতী হয়েছে। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটা ছিল ৯ হাজার ৬১৩ অর্থাৎ পরের বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছরের কম বয়সী নাবালকদের আত্মঘাতী হওয়ার পেছনের মূল কারণ পারিবারিক সমস্যা, অসুস্থতা, প্রেম-ভালোবাসা। কিছু ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে আদর্শগত কারণ বা নায়ক-নায়িকার আরাধনা, বেকারত্ব, দেউলিয়া বা নপুংসকতা।

চাইল্ড প্রটেকশন, সেভ দ্য চাইল্ড-এর উপ অধিকর্তার কথায়, লকডাউনে স্কুল বন্ধ। তার ওপর খেলাধুলার মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধ। তার প্রভাব পড়েছে শিশু মনে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি শিশুদের আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের সমাজে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলায় বিস্তর ছুতমার্গ রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মত যথেষ্ট পরিমাণ পেশাদারিত্ব নেই। তার উপর স্কুল বন্ধ, যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে।

ক্রাই চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অধিকর্তার কথায়, প্রতিবারই শুরু থেকে শিশুদের মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল । এই পরিসংখ্যান সেই সংক্রান্ত রিপোর্টই তুলে ধরেছে তার কথায়, অনেকেই পরীক্ষা, রেজাল্ট এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। অনলাইনে ক্লাস হলেও অনেক দুস্থ পরিবারের সন্তানরা সেই ক্লাসে শামিল হতে পারেনি। ফলে এই বিভাজন প্রভাব ফেলেছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in