করোনা মহামারিকালে দেশে ধর্ষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকতে পারে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। যদিও দেশের পুলিশ রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। ভারতে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ধর্ষিতা এবং তাদের পরিবার কখনই নিরপেক্ষ বিচার পায় না এক্ষেত্রে। 'সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স ইন সাউথ এশিয়া: লিগাল অ্যান্ড আদার বেরিয়ারস টু জাস্টিস ফর সারভাইভারস' নামক এই রিপোর্টটি যৌথভাবে লিখেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইকুয়ালিটি নাও এবং ডিগনিটি অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল।
৬টি দক্ষিণ এশিয় দেশের মধ্যে ভারতেই অবিলম্বে এই যৌন হেনস্থার বিষয়ে সরকারকে জরুরি পদক্ষেপের জন্য বলা হয়েছে। যাতে নিগৃহীতা ও তার পরিবার প্রাপ্য বিচার পায়। পাশাপাশি অভিযুক্তরা যাতে উপযুক্ত শাস্তিও পায়। রিপোর্ট অনুসারে, মহামারিকালে যৌন অপরাধের পরিমাণ ভয়ানকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সারা বিশ্বে। ৬টি দেশের মধ্যে এই অপরাধের পরিমাণ বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। এই ৬টি দেশ হল, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, 'ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে মহামারিকালে ধর্ষণের অভিযোগ কম জমা পড়েছে। পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিলের মাঝে দিল্লিতে ২৩ টি ধর্ষণের মামলা জমা পড়েছে। ২০১৯ সালে যার পরিমাণ ছিল ১৩৯টি। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল সত্যিটা হল অন্য। ঘটনা হয়তো আরও বেশি ঘটেছে, কিন্তু মহিলারা এই সময়ের মধ্যে তার অভিযোগ জানাতে পারেননি। তার কারণ এই লকডাউন।'
এই লকডাউনের সময় মহিলারা বাড়ি থেকে কম বেরিয়েছেন। এর ফলে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ জানানো সম্ভব হয়নি সবসময়, আবার অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ কোনও মামলাই দায়ের করতে চায়নি, আদালতগুলোতে কাজের সময় কমে যাওয়ার ফলে অনেক মামলা সময়ে হয়নি। এই ভাবেই মহিলাদের উপর হওয়া যৌন হিংসার খবরগুলো ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন