“মোদি সরকারকে হলফনামায় ব্যাখ্যা করতে হবে কেন তারা এই সাইবার অস্ত্র কিনেছে, কে এর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, কাদের ওপর ব্যবহার করা হবে কীভাবে তা ঠিক হয়েছিল এবং এই রিপোর্টগুলো কারা পেয়েছে?” শনিবার এক ট্যুইট বার্তায় একথা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ভারত সরকার ইজরায়েলী সংস্থার তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনেছিলো। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পেগাসাস ইস্যুতে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহল।
এদিনের ট্যুইটে ইয়েচুরি আরও বলেন, এই ধরনের একটি জটিল বিষয়ে নীরব থাকার অর্থ অপরাধমূলক কার্যকলাপ স্বীকার করে নেওয়া। নিজের ট্যুইটের সঙ্গে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনও শেয়ার করেছেন ইয়েচুরি।
অন্য এক ট্যুইটে এদিন ইয়েচুরি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য জনগণের টাকায় পেগাসাস সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট এবং সংবেদনশীল বিষয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি গণতন্ত্রের মারাত্মক বিপর্যয়ের সমান। যা গ্রহণীয় নয়। এই সরকারকে যেতেই হবে।
উল্লেখ্য, এদিনই পেগাসাস কান্ডে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। এক ট্যুইট বার্তায় রাহুল জানিয়েছেন, মোদী সরকার পেগাসাস কিনেছিলো ফোন ট্যাপ করে আমাদের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংস্থা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারি আধিকারিক, বিরোধী রাজনীতিক, সশস্ত্র বাহিনী, বিচারবিভাগীয় আধিকারিক এবং জনসাধারণের ওপর নজরদারি করার জন্য। এটা দেশদ্রোহ। মোদী সরকার দেশদ্রোহের অপরাধে অপরাধী।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইজরায়েল সফরের সময় প্রায় ২ বিলিয়ন ইউ এস ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং নজরদারির সরঞ্জাম কেনা হয়। এই সময়েই কেনা হয় পেগেসাস। এর কয়েক মাস পরেই ভারত সফরে আসেন ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট নেতানইয়াহু। ২০১৯ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে ইজরায়েলের সমর্থনে ভোট দেয় ভারত। যদিও এর আগে পর্যন্ত প্যালেস্তাইন প্রশ্নে ইজরায়েলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই চলতো ভারত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন