মুক্ত সংশোধনাগারের ষাটোর্ধ্ব বন্দিদের জন্য বার্ধক্যভাতা দেওয়ার একটি প্রস্তাব এসেছে। যাদের সংশোধনাগারে কাজ করে খাবার জোগাড় করার মতো ক্ষমতা নেই। যদিও এই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানা গেছে।
বন্দিদের মুক্ত সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করার পর প্রথম তিনবার অন্ন সংস্থানের দায়িত্ব নেয় কারা দফতর। এরপর থেকে, তাদের নিজেদের খাবার নিজেদেরকেই জোগাড় করতে হয়। সকালে বাইরে কাজের যাওয়ার জন্য সংশোধনাগার থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যেতে সংশোধনাগারে ফিরে আসেন তারা। বাইরে থেকে যা মজুরি মেলে তা দিয়েই খাবারের জোগাড় করেন বন্দিরা।
কারা দফতর সূত্রের খবর, এই নিয়মের জেরে সমস্যায় পড়েন ষাটোর্ধ্বরা। তাদের বাইরে গিয়ে জীবিকা নির্বাহের মতো ক্ষমতা নেয়। ফলে তাঁদের জন্য বার্ধক্যভাতা দেওয়ার প্রস্তাব আনা হয়েছে। কারা দফতরের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গেছে, মোট ৪ টি মুক্ত সংশোধনাগার রয়েছে রাজ্যে। যেখানে মোট বন্দিদের সংখ্যা দু'শর বেশি। যাদের মধ্যে ৬০ বছরের উপরে অনেকেই। কেবল লালগোলা সংশোধনাগারে রয়েছেn ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। বাকিরা অন্য জেলার।
গত ৩ ফেব্রুয়ারী মুক্ত সংশোধনাগারের সুপার মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে চিঠি লিখে বন্দিদের আর্থিক সহয়তার জন্য আবেদন জানান। বিশেষত ৬০ বছরের উর্ধ্বে যারা তারা কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। ফলে তাদের জন্য বার্ধক্যভাতা চালু করার আবেদন করা হয়।
দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যদি বার্ধক্যভাতা দিতে হয়, তবে তা শুধু লালগোলা মুক্ত সংশোধনাগারের আবাসিকদের দিলেই হবে না, দিতে সবে রাজ্যের আরও তিনটি মুক্ত সংশোধনাগারে থাকা যাটোর্ধ্ব বন্দিদেরও।’’
মুক্ত সংশোধনাগারে কেবল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের রাখা হয়। এক কারা আধিকারিক বলেন, ‘‘অনেকে ছোটখাটো ব্যবসাও করেন। সমাজের মূল স্রোতে ফিরে যাওযার আগে মুক্ত জীবনের স্বাদ দিতে মূলত তাঁদেরই মুক্ত সংশোধনাগারে পাঠানো হয়, যাঁদের মুক্তির মেয়াদ এগিয়ে এসেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাট বছর বয়স হওয়ার আগে মুক্তি পান বন্দিরা।’’
যদিও এবিষয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি জানান, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করতে হবে।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন