কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওএনজিসিকে তেলের খনি বিক্রি করে দিতে বলা হল। বন্ধ করতে বলা হল ড্রিলিং এবং অন্যান্য কাজ। গত ১ এপ্রিল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সচিব অমর নাথ এই মর্মে এক চিঠি লিখেছেন ওএনজিসি চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুভাষ কুমারকে। যে চিঠিতে অবিলম্বে সাত দফা অ্যাকশন প্ল্যান চালু করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে এই নিয়ে তৃতীয়বার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ওএনজিসিকে বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হল।
এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে বেসরকারিকরণের জন্য ওএনজিসি-র ১৫টি তেলের খনি চিহ্নিত করা হয়েছিলো। যেখানে আনুমানিক ৭৯১.২ মিলিয়ন টন খনিজ তেল এবং ৩৩৩.৪৬ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস সঞ্চিত আছে। এর ঠিক ১ বছর পরে ওএনজিসি-র ১৪৯টি ছোটো তেলের খনি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিলো।
এই দুই প্রস্তাবের মধ্যে প্রথম প্রস্তাব ওএনজিসি-র কড়া বিরোধিতায় খারিজ হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার বিষয়টি মন্ত্রীসভায় উত্থাপিত হয় ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেবার ৬৪টি ক্ষেত্রের জন্য টেন্ডার ডাকার কথা হলেও ওএনজিসি জানিয়েছিলো ৪৯ টি খনির ক্ষেত্রে তারা আগামী তিন বছর সমস্ত কর্মপ্রক্রিয়াতে পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারি করবে। এরপরেই সেই প্রস্তাবও বাতিল হয়।
ওএনজিসি-র অধীনে থাকা যে যে তৈলক্ষেত্র বিক্রির তালিকায় আছে তার মধ্যে আছে পশ্চিমি তটে আর-সিরিজের পান্না-মুক্তা এবং রত্না। এছাড়াও আছে গুজরাটের গান্ধার। আছে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর ব্লক, কে জি বেসিনের দীনদয়াল ব্লক এবং কেজি ডিডব্লুএন-৯৮/২।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন