সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কোয়াকুইরেলি সাইমন্ডস (QS World University Rankings) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ২০২৩-এর রেজাল্ট। আর তাতে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলির প্রতিনিধিত্বের অভাব ফুটে উঠেছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০০-র মধ্যে জায়গা করে নিতে পারেনি ভারতের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শীর্ষ ২০০-র মধ্যে জায়গা পেয়েছে মাত্র ৩ টি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। আর বিশ্বের সেরা ১৫০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের মোট ৪১ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।
জানা যাচ্ছে, গবেষণার জন্য বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান পেয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেস (IISc)। গবেষণার পরিকাঠামোর বিচারে সমস্ত স্কোরে ১০০-এ ১০০ পেয়েছে আইআইএসসি বেঙ্গালুরু। গত এক বছরে বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ১৮৬ থেকে ১৫৫ রাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc)।
এরপরে রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা IIT-বম্বে এবং IIT-দিল্লি। বিশ্বে IIT-বম্বের র্যাঙ্কিং হল ১৭২ এবং IIT- দিল্লির র্যাঙ্কিং ১৭৪। গত বছর এই দুই প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কিং ছিল যথাক্রমে ১৭৭ ও ১৮৫।
এছাড়া, বিশ্বের সেরা ৫০০ থেকে ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (DU), সাবিত্রী ভাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয় (SBPPU), মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় (UM), জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU), ও.পি. জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি (OPJGU), যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU), হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় (HU), চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় (CU), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (JMI), পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয় (PU) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (CU)।
মোট ৬টি শর্তের উপর ভিত্তি করে কোয়াকোয়ারেলি সাইমন্ডস (QS) বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং করে। এই শর্তাবলী হল — অ্যাকাডেমিক রেপুটেশন (AR), নিয়োগকর্তার রেপুটেশন (ER), ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট রেশিও (FSR), ফ্যাকাল্টি প্রতি উদ্ধৃতি (CpF), ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি রেশিও এবং ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রেশিও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন