দীর্ঘ দু’মাস ধরে দিল্লির সীমান্ত অঞ্চলে কৃষকরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। কৃষকরা বার বার জানিয়েছেন তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষপাতী। এরপরেও ২৬ জানুয়ারি হঠাৎ করে এমন কী ঘটনা ঘটলো যাতে আন্দোলনে কিছুটা হিংসা চলে এল? এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বরখাস্তের দাবী তুলে একথা জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
বুধবার কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এই প্রসঙ্গে জানান – লালকেল্লার ঘটনায় কৃষক ইউনিয়নের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা হলেও মূল যে অভিযুক্ত সেই দীপ সাধু এবং গ্যাং-এর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁর আরও প্রশ্ন – একজন ব্যক্তি যার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে, অমিত শাহর সঙ্গে একাধিক ছবি আছে - সেই সাধুকে কারা লালকেল্লায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলো?
এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, যদি ৬০ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লোক ঢুকিয়ে তাকে চক্রান্ত করে হিংসাশ্রয়ী করে তোলা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ – ঠিক যেভাবে শাহিনবাগ এবং জে এন ইউ-এর ঘটনাকে উত্তর পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায় বদলে দেওয়া হয়েছিলো একইভাবে চক্রান্ত করে কৃষকদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আরও দাবী করা হয়েছে - বিজেপির অভ্যন্তরীণ এক ব্যক্তি, যিনি অমিত শাহের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ কৃষকদের আন্দোলনকে কুখ্যাত করার পূর্ব পরিকল্পনাযুক্ত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত, কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেডের দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার যদিও কোনো অবমাননা করা হয়নি বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র, তবু এই ঘটনায় কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে জোরদার ফাটল ধরেছে।
ইতিমধ্যেই দুই সংগঠন এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক কৃষক নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। যদিও লালকেল্লার ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে যার ছবি সামনে এসেছে সেই দীপ সিধুর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় একাধিক প্রশ্ন সামনে এসেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন