ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের এক তালিকা প্রকাশ করে অবিলম্বে সেই টাকা উদ্ধারের দাবি জানালেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। শুক্রবার এক ট্যুইট বার্তায় ইয়েচুরি বলেন – সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত সঞ্চয় থেকে লুট হওয়া টাকার যদি আংশিক উদ্ধারও মোদী সরকার নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সেই টাকায় ভ্যাকসিনেশনের এবং বিনামূল্যে সকলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।
তাঁর আরও দাবি - ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের কাছ থেকে অবিলম্বে এই টাকা উদ্ধার হোক। তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ১৮ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মোট বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৮,৫০,৭৪৯ কোটি টাকা। যারা সকলেই ঋণখেলাপী।
নিজের ট্যুইটের সঙ্গে এদিন ইয়েচুরি যে তালিকা দিয়েছেন সেই তালিকার প্রথমেই নাম আছে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর। অনিল আম্বানী পরিচালিত এই গোষ্ঠীর বকেয়া ঋণের পরিমাণ ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। ইয়েচুরি প্রকাশিত ওই তালিকা অনুসারে এই ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের অধিকাংশই বিজেপিকে টাকা দিয়ে থাকেন।
এই তালিকায় অনিল আম্বানীর রিলায়েন্স গোষ্ঠী ছাড়া আরও ১৭ সংস্থার নাম আছে। তালিকায় দ্বিতীয় নাম বেদান্ত গ্রুপের। যাদের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকা।
রুইয়া ব্রাদার্স পরিচালিত এসার গ্রুপের বকেয়া ঋণ ১.০১ লক্ষ কোটি টাকা।
গৌতম আদানির আদানি গ্রুপের বকেয়া ঋণ ৯৬,০৩১ কোটি টাকা।
মনোজ গৌড়ের জেপি গ্রুপের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৭৫,১৬৩ কোটি টাকা।
সজ্জন জিন্দালের জেএসডব্লু গ্রুপের বকেয়া ঋণ ৫৮,১৭১ কোটি টাকা।
জি এম রাও-এর জিএমআর গ্রুপের বকেয়া ঋণ ৪৭,৯৭৬ কোটি টাকা।
এল মধুসূদন রাওয়ের ল্যানকো গ্রুপের বকেয়া ঋণ ৪৭,১০২ কোটি টাকা।
বেণুগোপাল ধূতের ভিডিওকনের বকেয়া ঋণ ৪৫,৪০৫ কোটি টাকা।
ব্রিজ ভূষণ সিঙ্ঘলের ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টীলের বকেয়া ঋণ ৩৭,২৪৮ কোটি টাকা।
এছাড়াও এই তালিকায় আছে জেভিকে গ্রুপ, অলোক ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যামটেক অটো, মুনেট ইস্পাত, ইলেক্ট্রোস্টীল, ইরা ইনফ্রা, এবিজি শিপইয়ার্ড, জ্যোতি স্ট্রাকচার প্রভৃতি সংস্থার নাম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন