২০১৪ সাল থেকে মোদি আমলে নিয়োগের হার কমেছে বিপুলভাবে। তার জেরে ক্রমশ বেড়েছে শূন্যপদের সংখ্যা। সম্প্রতি সংসদে এক প্রশ্নের জবাবের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কর্মী নিয়োগ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এমনটাই জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হয় স্টাফ সিলেকশন কমিশন, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন, রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে। এই তিন সংস্থার মাধ্যমে ২০০৭-০৮ থেকে ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ জমানায় ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ২৭ জন নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মোদি জমানায় ২০১৬-১৭ সাল থেকে ২০২০-২১ সালের মধ্যে নিয়োগ হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮১৩ জন।
মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমান অনুমোদিত পদ ৪০ লক্ষ ৪ হাজার ৯৪১ জন। শূন্যপদ ৮ লক্ষ ৭২ হাজার ২৪৩টি। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, দুই থেকে তিনবছর যদি কোনও পদ ফাঁকা থাকে, তবে সেই পদকে অবলুপ্ত ঘোষণা করা হবে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ না হওয়ায় মোদি জমানায় বহু পদই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
যদিও জিতেন্দ্র সিং দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে গত সাত বছরে মোট ছয় লক্ষ ৯৮ হাজার নিয়োগ হয়েছে। ইউপি আমলে সেই নিয়োগ ছিল ছয় লক্ষ ১৯ হাজার। কিন্তু কর্মচারী সংগঠন বলছে যে, মোদির আমলে ঠিকা কর্মী সংখ্যা বেড়েছে। অর্থাৎ যে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অস্থায়ী নিয়োগ।
এদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দাবির মাঝে বিজেপি সংসদ বরুণ গান্ধীর অসন্তোষ প্রকাশে ফের দলের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে। তাঁর বক্তব্য, প্রতিরক্ষা, পুলিশ, শিক্ষা সব ক্ষেত্রেই নিয়োগ কমে গিয়েছে। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় চলছে অবাধ দুর্নীতি। সেই খবরে যুবসমাজ হতাশ। উত্তরপ্রদেশে গত দুই বছরে সাতবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। পরীক্ষা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফল বেরোয় না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন