একদিকে বাড়ছে বিপুল বিত্তবানদের সংখ্যা। অন্যদিকে, ক্ষুধা স্বাস্থ্য-পরিবেশের নিরিখে সুস্থিত উন্নয়নের মাপকাঠিতে ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে ভারত। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ২০২২ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ক্রমাঙ্কের বিচারে ভারত ১১৭ থেকে ১২০তম স্থানে নেমে গিয়েছে। একমাত্র পাকিস্তানই ভারতের পিছনে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সব দেশের অবস্থান ভারতের উপরে। পাকিস্তান রয়েছে ১২৯তম স্থানে।
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন যাদব ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ক্ষুধার নিরসন, সুস্বাস্থ্য, লিঙ্গ সাম্য, সুস্থিত উন্নয়ন সম্পন্ন শহর অঞ্চল এবং সামাজিক বিভিন্ন অংশের বিকাশের মতো মাপকাঠিতে ভারতকে পিছিয়ে যেতে হয়েছে।
সমীক্ষা করার সময় কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা হয়? স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো মানব উন্নয়নের মতো বিষয়ক মাপকাঠিকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শুধু বিত্তের গড় বৃদ্ধি বিবেচনা করা হয়নি। উন্নতমানের শিক্ষা এবং ভূমিক্ষয়জনিত জীবিকাহানি রোধে মাপকাঠিতেও ভারত পিছিয়ে রয়েছে। গত বছর ক্ষুধা নিরসন, খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, লিঙ্গ সাম্য, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা খুবই নিম্নমানের ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে, ভারতে অতি বিত্তবানদের সম্পদ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে সম্পত্তি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সংস্থা নাইট ফ্রাঙ্কের রিপোর্টে ধরা পড়েছে। এর আগে উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্তের বিপুল বৈষম্য ধরা পড়েছিল অক্সফ্যাম রিপোর্টে। সংস্থার ওয়েলথ রিপোর্ট জানাচ্ছে, ভারতের অতিবিত্তশালীদের সংখ্যা বেড়েছে ১১ শতাংশ। সবরকম কর দেওয়ার পরও এদের একএকজনের সম্পত্তির মূল্য প্রায় ২২৬ কোটি টাকা। ১০০ কোটি ডলারের মালিকের সংখ্যার বিচারে ভারত এখন বিশ্বের তিন নম্বরে। আমেরিকায় এই সংখ্যা ৭৪৮, চিনের মূল ভূখণ্ডে ৫৫৪, তারপরেই ভারতে ১৪৫।
বিশ্বে বিত্তবানদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের বছরের তুলনায় ৯.৩ শতাংশ আর ভারতে সেই হার ১১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, ভোগ ব্যয় হ্রাস করে সংযমী সমাজ সমস্যা কমাতে পারে। পাশাপাশি মহামারীর উপর এই অবনমনের দায় চাপিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন