শিশু শ্রম নিবারণে আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের উদ্যোগ সত্যার্থী সহ অন্যান্য নোবেল প্রাপক ও সমাজসেবীদের

সত্যার্থী বলেন, মাত্র ৫২ বিলিয়ন ডলারের সাহায‍্যে গরিব দেশের প্রত্যেকটি শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাকে সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া যাবে। এই অর্থের পরিমাণ জি৭ দেশগুলির কোভিডের জন্য বরাদ্দ দুদিনের অর্থের থেকেও কম।
কৈলাশ সত্যার্থী
কৈলাশ সত্যার্থীছবি সৌজন্যে কৈলাশ সত্যার্থীর Our Foundation ওয়েবসাইট
Published on

২০২০ সলের গোড়াতেই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছিল ১৬০ মিলিয়ন। অতিমারির ফলে আরও ১৫০ মিলিয়ন শিশু তীব্র দারিদ্র্যের শিকার হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নোবেল প্রাপক, শিশু শ্রম বিরোধী কর্মী এবং যুবা সমাজসেবীরা একযোগে শিশু শ্রম ও শিশু দারিদ্র‍্য দূর করার উদ্যোগ নিলেন। বিশ্ব সামাজিক শিশু নিরাপত্তা তহবিল গঠনের জন্য বিশ্ব নেতাদের কাছে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

সুইডেন সরকার, নরওয়ের বিদেশ মন্ত্রক ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (ILO)-এর যৌথ উদ্যোগে এবং নোবেল প্রাপক ও শিশু অধিকারের পক্ষে সরব ব্যক্তিদের দ্বারা আয়োজিত 'ফেয়ার শেয়ার টু এন্ড চাইল্ড লেবার' শীর্ষক প্রথম ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে 'আন্তর্জাতিক শিশু শ্রম দূরীকরণ বর্ষ' উপলক্ষ্যে এই বার্তা দেওয়া হয়।

এই উদ্যোগের অন‍্যতম প্রধান অংশীদার ভারতের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর। তিনি গত সপ্তাহে এসডিজির বিশ্ব দূত মনোনীত হয়েছেন। তিনি বলেন, নোবেল প্রাপক এবং নেতারা একটি হিসাব প্রকাশ করেছেন। মাত্র ৫২ বিলিয়ন ডলারের সাহায‍্যেই গরিব দেশের প্রত্যেকটি শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাকে সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া যাবে। এই অর্থের পরিমাণ জি৭ দেশগুলির কোভিডের জন্য বরাদ্দ দুদিনের অর্থের থেকেও কম এবং ইউরোপের সামাজিক নিরাপত্তা প্রোগ্রামে খরচের ০.৪ শতাংশের সমান।"

সত্যার্থীর এই ভাবনাকে সমর্থন জানিয়েছেন ঘটেছে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফান লফভেন, ILO-র ডিজি গুই রাইডার সহ অন্যান্য আয়োজক দেশ এবং সংগঠনগুলি।

মার্কিন কংগ্রেসের রোজা ডেলাউরো তাঁর দেশের গরিব শিশুদের অবস্থার বিষয়ে অনুষ্ঠানে বলেছেন। তাঁর কথায়, শিশু দারিদ্র্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলঙ্ক। তিনি দেশের গৃহীত নীতির সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি সেদেশে শিশুদের অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে অর্থসাহায্য জমা দেওয়ার প্রকল্পটির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

একদা শিশু শ্রমিক ছিলেন কিন্তু সেই জাঁতাকল থেকে বেরিয়ে শিশুদের জন্য কাজ করছেন এমন মানুষরাও সভায় তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন, যেমন ভারতের খুশবু শর্মা, যিনি বর্তমানে স্ট্রীট বিটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা; আইনজীবী মনন আনসারি; চম্পা কুমারী।

দুঘণ্টার অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সত্যার্থী ভাবাবেগপূর্ণ ভাষণে বলেন এখন‌সময় এসে গেছে আর সবকিছুর মতো বর্তমান বিশ্বে শিশুদের প্রতি সমবেদনার বিষয়টিকেও বিশ্বায়িত কর‍তে হবে।

-With IANS Inputs

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in