বর্তমানে দেশের সবথেকে ধনীতম মহিলা সাবিত্রী জিন্দাল। গত দুবছর ধরে এই জায়গাটি দখল করে রয়েছেন তিনি। তবে ২০২৩ –এ আম্বানি, আদানিকেও ছাড়িয়ে গেল তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্সের রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালে ৭৩ বছরের সাবিত্রী জিন্দলের সম্পত্তি বেড়েছে ৯.৬ বিলিয়ন ডলার।
ছিলেন গৃহবধু, সেখান থেকে এখন ভারতের একজন সফলতম ব্যবসায়ী। কোনোদিনও ভাবতে পারেননি সাবিত্রী যে তিনি একজন ব্যবসায়ী হবেন। তবে ২০০৫ সালের একটা ঘটনা তাঁর জীবনের গতিবিধি পাল্টে দিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের সহারানপুরের কাছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটে সাবিত্রী জিন্দালের স্বামী ওম প্রকাশ জিন্দালের, যিনি সেইসময় হরিয়ানার বিদ্যুৎমন্ত্রীও ছিলেন। ৭৪ বছরের ওম প্রকাশ জিন্দালের প্রয়াণে ভেঙে পড়েন ৫৫-র সাবিত্রী। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, ওপি জিন্দাল গোষ্ঠীর দ্বায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নেবেন।
যেখান থেকে শুরু হয় তাঁর ব্যবসায়ীক জীবনের যাত্রা। খুব তাড়াতাড়ি ব্যবসার খুঁটিনাটি শিখে নিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালের পর থেকে ওপি গোষ্ঠী তাঁর হাত ধরেই উন্নতির শিখরে উঠতে শুরু করে। সাবিত্রী এখন ওপি জিন্দাল গোষ্ঠীর চেয়ারপার্সন এমিরেট।
ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সাবিত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬০ কোটি ডলার। গত বছর তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল, ১,৭০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় টাকায় ১৪ লক্ষ ২ হাজার ৮৫৮ কোটি। এখন যা বেড়ে হয়েছে ২১ লক্ষ ৪ হাজার ২৮ কোটি টাকা। বর্তমানে সাবিত্রী দেশের পঞ্চম ধনী ব্যক্তি।
সাবিত্রী জিন্দালের পরেই সম্পদ বৃদ্ধির তালিকায় উঠে এসেছেন এইচসিএল টেকের প্রতিষ্ঠাতা শিব নাদার। যার মোট সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার। শিব নাদারের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৩২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, বিড়লা গ্রুপের কুমার মঙ্গলম বিড়লা এবং শপূর মিস্ত্রির সম্পদও ৬.৩ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
তবে, মুকেশ অম্বানির সম্পদ বৃদ্ধির মাত্র ৫.২ বিলিয়ন ডলার। যদিও ভারতের ধনীদের তালিকায় এখনও শীর্ষে রয়েছেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯২৩০ কোটি। অন্যদিকে, আদানির সম্পদ এই বছর ৩৫.৪ বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন