শীর্ষ আদালতে বিপুল সংখ্যায় মামলা স্থগিত করে দেওয়া নিয়ে এবার দেশের প্রধান বিচারপতির তোপের মুখে পড়ল বার কাউন্সিল। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় বার কাউন্সিলকে কড়া নির্দেশ দিলেন, খুব প্রয়োজন না থাকলে কোনও মামলা বারবার স্থগিত করে রাখা যাবে না। গত একমাসে প্রায় ৩৬৮৮টি মামলা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
গত প্রায় বেশ কয়েকমাস ধরে দেশের শীর্ষ আদালতে বেড়েছে মামলার সংখ্যা। প্রতিদিনই শুনানির জন্য প্রায় কয়েকশো আবেদন মামলা এসে জমা পড়ে শীর্ষ আদালতের কাছে। আর মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে মামলা স্থগিত করে দেওয়ার প্রবণতাও। সেই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এদিন প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “এই আদালত ধীরে ধীরে ‘তারিখ পে তারিখ’ আদালতে পরিণত হচ্ছে। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।”
এদিন খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কোনও মামলায় স্থগিত স্লিপ না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি বারের সদস্যদের কাছে। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “এইভাবে চলতে থাকলে দেশের বিচারব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে।” কোনও মামলার শুনানির সময়কাল যত সম্ভব কমিয়ে আনা নিশ্চিত করার জন্য মামলাটির প্রথম শুনানি থেকেই বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, ১ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে গড়ে ১৫৪টি মামলা মুলতবি করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে মোট ৩৬৮৮টি মামলা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সেপ্টেম্বরে ২৩৬১টি মামলা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন শীর্ষ আদালতে গড়ে ৫৯ মামলা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয় বলে দাবি বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের। তাঁর মতে, একদিকে দ্রুত শুনানির জন্য মামলা তালিকাভুক্ত করা হয় আর অন্যদিকে উল্লেখ করার পর সেই মামলা তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে অধিকাংশ মামলাই স্থগিত করে দেওয়া হয়। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, “এরকম চলতে থাকলে তো মামলা দায়ের করা আর তালিকাভুক্ত করার কোনও মানেই থাকবে না।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন