অনাহারে মৃত্যুর তথ্য না দেওয়ায় মঙ্গলবার কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সরকারকে অনাহারে মৃত্যুর সর্বশেষ তথ্য সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ক্ষুধা ও অপুষ্টি মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে ‘কমিউনিটি কিচেন প্রকল্প’ গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বে বিচারপতি এ.এস. বোপান্না, হিমা কোহলির বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) কে.কে. ভেনুগোপালকে বলেন, “ভারত সরকারের উচিত আমাদের অনাহারে মৃত্যুর সর্বশেষ তথ্য দেওয়া। আপনার অফিসারদেরকে বলুন আমারাদের তথ্য দিতে।”
বিচারপতিদের বেঞ্চ কমিউনিটি কিচেনের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। বিচারপতিদের বক্তব্য, কমিউনিটি কিচেনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য একটি মডেল স্কিম তৈরি করা উচিত এবং এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজ্য সরকারগুলির উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করেছে যে, এর অর্থ এই নয় যে ‘সর্বজনীন স্কিম’ তৈরি করার কথা বলা হচ্ছে। সমস্যাটির সমাধান করার জন্য সরকার অন্তত একটি ‘মডেল স্কিম’ তৈরির স্বদিচ্ছা দেখাক।
বেঞ্চ রাজ্য সরকারগুলিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে অপুষ্টি, অনাহারে মৃত্যুর তথ্য সরবরাহ করতে বলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) যুক্তি দিয়েছেন যে, কোনও রাজ্য সরকার অনাহারে মৃত্যুর খবর দেয়নি। প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন – “ তাহলে কী ধরে নেব, আমাদের দেশে অনাহারে মৃত্যু হয় না?” তিনি আরও বলেন – এই সমস্যাটিকে একটি মানবিক সমস্যা হিসাবে দেখতে এবং ‘কমিউনিটি রান্নাঘর’-এর জন্য একটি মডেল প্রকল্প তৈরি করতে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে কমিউনিটি রান্নাঘরের স্কিম প্রণয়নের জন্য পিটিশন দাখিল হয়েছে। আবেদনকারীর কৌঁসুলি আশিমা মন্ডলা এই বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার জন্য শীর্ষ আদালতকে অনুরোধ করেছেন। রাজ্য সরকারকে আরও বেশি খাদ্যশস্য সরবরাহ করা যায় কিনা সে বিষয়ে কেন্দ্রকে বিবেচনা করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি। তিন সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন