চাহিদা কমছে ভারতীয় ক্রেতাদের। যার জেরে আশঙ্কায় রয়েছে রিলায়েন্স, ইউনিলিভার সহ ভারতের সাতটি জনপ্রিয় কোম্পানি। ভারতীয় অর্থনীতির জন্য যা খুব একটা ভালো চিত্র নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্রেতাদের চাহিদা কমার অন্যতম কারণ হল মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব। যদিও ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, উৎসবের মরসুমে মানুষের চাহিদার 'মিশ্র' ছবি ধরা পড়েছে।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে শহরের মধ্যবিত্ত মানুষের চাহিদা অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করছে কোম্পানগুলি। করোনা পরবর্তী সময়ে উচ্চহারে সুদ, মজুরি বৃদ্ধি এবং চাকরির অনিশ্চয়তা শহরের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তবে গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা লক্ষ্যণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব জানান, উদ্বেগের আসল কারণ হল চাহিদা বৃদ্ধি শুধুমাত্র কয়েকটি বিভাগে হয়েছে। বাজারের ৮০ শতাংশ যা ছিল তাই আছে। এই অংশে পরিবর্তন ঘটেনি।
হিন্দুস্থান ইউনিলিভারের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রোহিত জাওয়া বলেন, পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে শহুরে চাহিদা কমেছে। নোমুরা হোল্ডিংস ইনকর্পোরেটেডের অর্থনীতিবিদ সোনাল ভার্মা এবং অরদীপ নন্দী জানান, কোম্পানিগুলো তাদের বেতনের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস যে শহুরে চাহিদার এই দুর্বলতা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া রিলায়েন্সে খুচরো শাখার উপার্জন তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৩.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি কমেছে। বিমান ভ্রমণে জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাত্রীরা মুখ ফেরাচ্ছেন।
বাজাজ অটো লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাকেশ শর্মা বলেন, মোটরসাইলে ব্যবসা ১ থেকে ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করা হয়েছিল ৫-৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু তা হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন