Supertech: দুপুর ২.৩০-এ বিস্ফোরণ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ভাঙা হচ্ছে নয়ডার ট্যুইন টাওয়ার

সুপারটেক ট্যুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলতে ব্যবহার করা হবে ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক। টাওয়ার ভাঙার সময় নির্ধারিত হয়েছে রবিবার দুপুর আড়াইটে। নিজেদের খরচায় এই জোড়া বহুতল ভেঙে ফেলবে নির্মাণ সংস্থা।
ট্যুইন টাওয়ার
ট্যুইন টাওয়ারছবি সৌজন্য এজেন্ডা বাস্টারের ট্যুইটার হ্যান্ডেল
Published on

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে ফেলা হবে নয়ডার ট্যুইন টাওয়ার। উচ্চতায় কুতুব মিনারকে ছাড়িয়ে যাওয়া সুপারটেক ট্যুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলতে ব্যবহার করা হবে ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক। ট্যুইন টাওয়ার ভাঙার সময় নির্ধারিত হয়েছে রবিবার দুপুর ২.৩০। সময় যত এগিয়ে আসছে তৎপরতা তত বাড়ছে।

নিজেদের খরচায় এই জোড়া বহুতল ভেঙে ফেলবে নির্মাণ সংস্থা। এই বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ের ৪৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ২.১৫ থেকে ২.৪৫ পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুম্বাইয়ের এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিং এই ভাঙার কাজ করবে। ১২ আগস্ট শীর্ষ আদালত এই জোড়া টাওয়ার ভাঙার চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়।

ইতিমধ্যেই এই দুই টাওয়ার ভেঙে ফেলার আগে এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই এলাকার প্রায় ৭ হাজার বাসিন্দাকে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর তাঁরা আবার ফিরে আসতে পারবেন।

যে পদ্ধতিতে এই দুই টাওয়ার ভাঙা হচ্ছে তাকে বলা হয় ‘ওয়াটারফল টেকনিক’। যাতে সোজাসুজি উপর থেকে নিচের দিকে ভাঙা অংশ নেমে আসে। দুই টাওয়ারের বিভিন্ন পিলারে প্রায় ৭০০০ গর্ত করে তাতে বিস্ফোরক ভরা হয়েছে। প্রযুক্তিবিদদের মতে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে ১২ মিনিট। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ট্যুইন টাওয়ার ভাঙতে খরচ হবে প্রায় ২০ কোটি টাকা।

দীর্ঘ ৯ বছর ধরে মামলা চলার পর এই ট্যুইন টাওয়ার ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিকভাবে সুপারটেক এমারেল্ড কোর্ট হাউসিং সোসাইটির এই বহুতল নির্মাণের সময় জানানো হয়েছিল ১৪টি ব্লকে ১০ তলা করে থাকবে। যদিও কিছুদিন পরেই প্ল্যান সংশোধিত করে জানানো হয় প্রতি টাওয়ারে ৪০ তলা করে নির্মাণ করা যাবে। এরপরেই এখানকার বাসিন্দারা এই নির্মাণ অবৈধ দাবি জানিয়ে ২০১২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ ওঠে নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালে আদালত চার মাসের মধ্যে এই ট্যুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়।

যদিও এরপরেই নির্মাণ সংস্থা সুপারটেক গ্রুপ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। গতবছরের আগস্ট মাসে আদালতের পক্ষ থেকে তিন মাসের মধ্যে এই নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেই সময় পিছিয়ে যায়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে নয়ডা কর্তৃপক্ষর যোগসাজোশে এই অবৈধ নির্মাণ গড়ে তোলা হয়েছে।

ট্যুইট টাওয়ারের দুটি টাওয়ারের নাম যথাক্রমে সিয়ান এবং অ্যাপেক্স। সুপারটেক সংস্থার প্রতিশ্রুতি ছিল এমারেল্ড কোর্ট-এর লাগোয়া অঞ্চলে গড়ে তোলা হবে বিস্তীর্ণ সবুজ এলাকা। যদিও পরবর্তীকালে সবুজায়নের ওই জায়গাতেই মাথা তোলে দৈত্যাকার দুই বহুতল। এরপরেই নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে সরাসরি বিবাদ বাধে বাসিন্দাদের।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in