মাত্র ৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে গেল দৈত্যাকার দুই টাওয়ার। নয়ডায় বেআইনিভাবে নির্মিত ট্যুইন টাওয়ার সিয়ান (২৯ তলা) এবং অ্যাপেক্স (৩২ তলা) ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে সময় লাগলো মাত্র ৯ সেকেন্ড। মুম্বাই ভিত্তিক সংস্থা এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং-কে এই কাজের জন্য যুক্ত করা হয়েছিল। সংস্থার পক্ষে চেতন দত্ত এই বিস্ফোরণের বোতাম টেপেন। যে পদ্ধতিতে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে তার নাম ‘ওয়াটারফল টেকনিক’। এই বিস্ফোরণকে ভারতের বৃহত্তম ধ্বংসকার্য (India’s biggest demolition) বলে অভিহিত করা হয়েছে।
সুপারটেক লিমিটেডের এমেরাল্ড কোর্ট প্রকল্পের অংশ ছিল এই দুই টাওয়ার। অভিযোগ ছিল এই দুই টাওয়ার তৈরিতে নির্মাণ সংক্রান্ত একাধিক বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। ‘নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ’-এর মাধ্যমে রবিবার দুপুর আড়াইটের সময় দুই টাওয়ারের ধ্বংস হবার সাথে সাথেই শেষ হল দীর্ঘ এক আইনি লড়াই। এদিনের নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের আগে আশেপাশের ন্যূনতম ক্ষতি নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে পার্শ্ববর্তী ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। আকাশসীমা প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয় এবং যানবাহনও সরিয়ে দেওয়া হয়।
এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্যদের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক সংস্থা জেট ডেমোলিশনের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জো ব্রিঙ্কম্যান, টুইন টাওয়ারগুলিকে ভেঙে ফেলার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। কারণ নিরাপদে এই দুই বহুতল ভাঙার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন কাজগুলির মধ্যে একটি ছিল এর শক্তিশালী নির্মাণ। কারণ এই দুই বহুতল ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে নির্মিত হয়েছিল৷
এমারল্ড কোর্টের অ্যাস্টার-২ অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে মাত্র নয় মিটার দূরে অবস্থিত ৯১৫টি ফ্ল্যাট সমন্বিত ট্যুইন টাওয়ারকে সম্পূর্ণরূপে বিস্ফোরক এবং তার দিয়ে যুক্ত করা হয়েছিল।
এমেরাল্ড কোর্ট এবং এটিএস গ্রামের ৫০০০-এরও বেশি বাসিন্দাকে সকাল ৭.৩০ টার মধ্যে এলাকা খালি করতে বলা হয়। আধিকারিকদের কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই তাদের ফিরতে দেওয়া হবে।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন