পুলিকট হ্রদ এলাকায় একটি বেসরকারি বন্দর নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এই এলাকায় বন্দর নির্মাণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীদের দাবি - এই নির্মাণের ফলে পুলিকট হ্রদ তার নিজস্বতা হারাতে পারে। মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগানকে এই বেসরকারি বন্দর নির্মাণ বন্ধ করার দাবিতে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
সম্প্রতি যে মৎস্যজীবীরা পুলিকট হ্রদে বেসরকারি বন্দর নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন, ওই অঞ্চল পরিদর্শনের সময় কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী সেই মৎস্যজীবী নেতাদের সাথে দেখা করেছেন।
হ্রদের তীরবর্তী গ্রামগুলির প্রতিনিধিদের বক্তব্য – যেখান থেকে সমুদ্রের জল হ্রদ্রে প্রবেশ করে এবং হ্রদ থেকে বেরিয়ে যায়, সেই মুখটিকে বাঁচিয়ে রাখা সবচেয়ে জরুরি। এই মুখটি স্থায়ীভাবে খোলা রাখা উচিৎ। ওই মুখে বেসরকারি বন্দর নির্মাণ হলে সমুদ্রের জল হ্রদে প্রবেশই করবে না। পুলিকট হ্রদকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই বন্দর নির্মাণ থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
মৎস্যজীবী সম্প্রদায় বেসরকারি বন্দরের বদলে এলাকায় একটি ‘মৎস্য বন্দর’ নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। মৎস্যজীবী নেতাদের মতে, কেন্দ্রীয় মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী তাঁদের জানিয়েছিলেন যে, রাজ্য সরকার যদি একটি মৎস্য বন্দরের নির্মাণের প্রস্তাব উত্থাপন করে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার সে বিষয়ে সমীক্ষা করবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার আওতায় তাদের আবাসন যাতে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। মৎস্যজীবীদের কিষাণ কার্ডও দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
পুলিকট হ্রদের তীরে বসবাসকারী এস মূর্তি আইএএনএসকে জানান, “আমরা এলাকায় একটি ব্যক্তিগত বন্দর নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমাদের তীব্র আপত্তির কথা জানিয়েছি। সরকারের উচিৎ নির্মাণ বন্ধ করা। সরকার আমাদের কথা না শুনলে, আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব”।
- (Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন