২০১৯-২০ অর্থবর্ষে নির্বাচনী ট্রাস্ট থেকে বিজেপি ২৭৬.৪৫ কোটি টাকা পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে যা ৭৬.১৭ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী খাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে। নির্বাচনী অধিকার গ্রুপ এডিআর (অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস)-এর একটি রিপোর্টে বিজেপির নির্বাচনী ট্রাস্টের এই হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজেপির পরেই রয়েছে কংগ্রেস। যাদের নির্বাচনী ট্রাস্টে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ৫৮ কোটি বা ১৫.৯৮ শতাংশ। জানা গিয়েছে, নির্বাচনী ট্রাস্টে অর্থ দান করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে জেএসডব্লুউ, অ্যাপোলো টায়ার্স, ইন্ডিয়াবুলস, দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এবং ডিএলএফ গ্রুপ। জেএসডব্লুউ স্টিল লিমিটেড সবথেকে বেশি অর্থ দান করেছেন নির্বাচনী ট্রাস্টে। যার পরিমাণ ৩৯.১০ কোটি টাকা। এরপরেই রয়েছে অ্যাপোলো টায়ার্স লিমিটেড। তাদের অর্থ দানের পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি।
ইন্ডিয়া বুলস ইনফ্রাএস্টেট লিমিটেড ২৫ কোটি টাকা দান করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ট্রাস্টকে। এছাড়াও ১৮ জন ব্যবসায়ী নির্বাচনী ট্রাস্টে টাকা দান করেছেন। যার মধ্যে ১০ জন ২.৮৭ কোটি টাকা দিয়েছেন প্রুডেন্ট ইলেকটোরাল ট্রাস্টকে, ৪ জন ৫.৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন স্মল ইলেকটোরাল ট্রাস্টকে এবং ৪ জন মোট ১ লাখ টাকা দিয়েছেন স্বদেশী ইলেকটোরাল ট্রাস্টকে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপি, কংগ্রেসের পর নির্বাচনী ট্রাস্টের খাতে এরপরে অর্থ সংগ্রহ করেছে আপ, এসএইচএস, এসপি, যুব জন জাগৃতি পার্টি, জননায়ক পার্টি, জেডিইউ, জেএমএম, এলজেপি, এসএডি, আইএনএলডি, জেকেএনসি এবং আরএলডি। এই রাজনৈতিক দলগুলো মোট ২৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ট্রাস্টে কত টাকা দান হিসেবে সংগ্রহ করেছে তার একটি বার্ষিক রিপোর্ট জমা করার জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন