কোন লাভের জন্য বিক্রি হচ্ছে লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, এই প্রশ্ন বহুদিনের। গত পাঁচ বছরে আটটি লাভজনক সংস্থা পুরোপুরি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘরে এসেছে ৬৬ হাজার কোটি টাকা। কর দেওয়ার পরও ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির লাভ গড়ে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা করে। সংসদে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর।
যেহেতু এই সব সংস্থার বিক্রিপর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে, তাই এসব সংস্থা থেকে আর কোনও টাকা সরকারি কোষাগারে পড়বে না। ফলে আয়ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই সংস্থাগুলো বিক্রি করে সরকার যে টাকা ঘরে তুলেছে, তার থেকে এদের মুনাফা বেশি ছিল। বিক্রি হওয়া সংস্থার তালিকায় আছে হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন কর্পোরেশন, ন্যাশনাল প্রজেক্ট কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন, এইচএসসিসি, ড্রেসিং কর্পোরেশন, টিএইচডিসি, কামবাজার পোর্ট, নর্থ-ইস্ট ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৭টি সংস্থা বিক্রির কাজ চলছে, তার মধ্যে ২১টি সম্পন্ন হয়েছে। তার মধ্যে আছে ব্রিজ অ্যান্ড রুফ, সিমেন্ট কর্পোরেশনের বিভিন্ন ইউনিট, বিইএমএল, পবন হংস, ভদ্রাবতী ইস্পাত কারখানা, এইচএলএল লাইফ কেয়ার, হিন্দুস্তান এন্টিবায়োটিকস ইত্যাদি। হিন্দুস্তান ফ্লুরোকার্বন, স্কুটার্স ইন্ডিয়া, ভারত পাম্প, হিন্দুস্থানী গ্রিফ্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তথাকথিত অ-স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রের সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ হবে বলে মোদি সরকার জানিয়েছে। প্রায় দুশো সংস্থায এই তালিকাভুক্ত।
অন্যদিকে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে বেসরকারিকরণ হবে রেলেরও। যাত্রী ট্রেন এবার সরকারি-বেসরকারি যৌথ মালিকানায় চালাবে কেন্দ্র। বেসরকারি সংস্থায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পর রেললাইন, প্লাটফর্ম, জমি সবই বিষয়গুলো তুলে দেওয়া হবে। সরকারি সংস্থার হাতে রেলওয়ের সম্পত্তি তুলে দিয়ে অর্থ সংগ্রহ মূল লক্ষ্য। গোয়েলের যুক্তি, রেলের জমি শুধু সরকার ব্যবহার করবে তা হয় না, বেসরকারি সংস্থা ব্যবহার করবে। তাতে কর্মসংস্থান বাড়বে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন