ভোটের বাজারে এ-এক অন্য চিত্র। একটা মন ভালো করা ছবি। ৪০ ডিগ্রি গরমের মধ্যেও জঙ্গলের আগুন নেভালো সোনামুখী ব্লকের খাগ জুনিয়ার হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। জল না থাকায় বালি ও গাছের ডাল ভেঙ্গে জঙ্গলের আগুন নেভায় স্কুল পড়ুয়ারা। ছোটো পড়ুয়াদের এই উদ্যোগে প্রশংসা করেছেন গ্রামবাসীরা।
জানা গেছে, দাউ দাউ করে জ্বলছিল বাঁকুড়ার সোনামুখীর জঙ্গল। সেই সময় স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসছিলেন খাগ জুনিয়ার হাই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সৌম কর্মকার। নজরে আসে জঙ্গলে আগুন লাগার দৃশ্য। প্রাণপন ছুটে ঘটনার কথা জানায় সহপাঠী এবং স্কুলের শিক্ষকদের। সময় অপচয় না করে স্কুল থেকে জঙ্গলের উদ্দেশ্যে ছুটতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষকরা। হাতের কাছে যে যা পেয়েছে তাই দিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন ছাত্রছাত্রীরা এবং শিক্ষকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ছবিতে দেখা যায় গাছের ডাল ভেঙে অথবা ধুলোবালি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে খুদে পড়ুয়ারা। প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর দীর্ঘ সময় পরে ঘটনাস্থলে আসেন বনদপ্তরের কর্মীরা। তবে কে বা কারা এই আগুন লাগিয়েছে তা জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কোন অসাধু ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
খাগ জুনিয়র হাই স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের দাবি, এইভাবে জঙ্গলে আগুন লাগালে পরিবেশে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে। ছোট চারা গাছ নষ্ট হবে। মৃত্যু হবে জঙ্গলের পশু পাখির থেকে শুরু করে ছোট ছোট প্রাণীদের।
খাগ জুনিয়র হাইস্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক লালমোহন ঘোষ বলেন, আমাদের এলাকাটি জঙ্গল অধ্যুষিত। জঙ্গল রক্ষা করে স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের কাছ থেকে লভ্যাংশ পান। জঙ্গলের প্রতি কচিকাঁচাদেরও একটা ভালোবাসা জন্মেছে। ওদের শুভ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি।
স্কুলে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশ সম্বন্ধে এতটা সচেতন দেখে খুশি এলাকার মানুষজন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন