৩১ মার্চ, ২০২২ –এ ভারত সরকারের ঋণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান করছে অর্থ মন্ত্রক। সোমবার লোকসভায় এমনটাই জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। লিখিত জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছেন যে, সরকার দেশের ঋণের বোঝা নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
তাঁর কথায়, “রাজস্ব ঘাটতি কমানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যথা সময়ে রাজস্ব প্রদানে উৎসাহ দেওয়া, সরকারি ব্যয় কমানো, সম্পদের নগদীকরণ সহ একাধিক বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৬.৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছিলে। যদিও ফিচ রেটিং অনুযায়ী, রাজস্ব ঘাটতি ৬.৬ শতাংশ করা যেতে পারে।
সরকারের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তরে চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রের ঋণ প্রধানত দেশীয় মুদ্রায় রয়েছে এবং এটি পরিশোধ করতে সরকার সক্ষম। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এবার অন্তত সরকার মেনে নিক দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়।
কংগ্রেসের তরফ থেকে ট্যুইট করা হয়েছে - "সরকার জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের ওপর অত্যধিক কর নিয়ে জনগণের অর্থ লুট করে নিজেদের কোষাগার পূরণ করলেও, অর্থবর্ষের শেষ নাগাদ দেশের ঋণ জিডিপির ৬২ শতাংশে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে। একটাই প্রশ্ন- মোদি সরকার আপনার টাকা দিয়ে কী করছে?"
অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমান অনুসারে ২০২২ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি ৯.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক (ডব্লিউইও) অনুসারে অক্টোবর ২০২১ সালে ৯.৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ এর জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি ৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, গত সপ্তাহেই এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, আয়কর বিভাগের নতুন পোর্টালে ৩ কোটিরও বেশি আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে। করদাতাদের যারা এখনও ২০২১-২২ বছরের জন্য তাদের রিটার্ন দাখিল করতে পারেনি তাদের দ্রুত তা করার জন্য অনুরোধ করেছে অর্থ মন্ত্রক।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন