আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শেষ ৩০ বছরে আত্মহত্যা বেড়েছে কমপক্ষে ২০ হাজার। যদিও এই সময় বয়সভিত্তিক আত্মহত্যার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ইনজুরি প্রিভেনশন জার্নালের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় জানা গেছে, বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল, গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডি (GBD) ১৯৫০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ২০৪ টি দেশ থেকে বয়স, লিঙ্গ, অঞ্চলের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই তথ্য জানিয়েছে।
১৯৯০ সালে আত্মহত্যায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ৭,৩৮,৭৯৯। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭,৫৮,৬৯৬। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে মূলত নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোতে। যেখানে ১৯৯০ সালের ২,৩২,৩৪০ থেকে ২০১৯ সালে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ৩,০৪,৮৯০। অর্থাৎ সংখ্যায় বেড়েছে ৭২,৫৫০।
এই সময়কালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১,৫২১.৫ শতাংশ। জনসংখ্যার বয়স কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে ৯৫২.৫ শতাংশ। কিন্তু এই প্রভাব বয়স-নির্দিষ্ট আত্মহত্যার হার কমিয়েছে প্রায় ২,৩৬৫ শতাংশ।
১৯৯০ থেকে ২০১৯ – এই সময়ে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেড়েছে দ্রুতগতিতে। শতাংশের বিচারে তা প্রায় ৮৯০ শতাংশ। যদিও এই প্রবণতা কিছু অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ।
জনসংখ্যার বয়স কাঠামোর ভিত্তিতে ৪৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা ৫৬৫ শতাংশ এবং ৬৫ ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে এই হার ৫২৯ শতাংশ। গবেষকদের দাবি অনুসারে, বিশ্বজুড়েই এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত আয়ভুক্ত অঞ্চলগুলো থেকে।
HKJC সেন্টার ফর সুইসাইড রিসার্চ অ্যান্ড প্রিভেনশনের পক্ষ থেকে ডঃ পল সিউ ফাই ইপ সহ গবেষকরা জানিয়েছেন - "যেহেতু বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলে স্ত্রী ও পুরুষ – দুই ক্ষেত্রেই ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি, তাই আগামীদিনে বিশ্বব্যাপী বয়স্ক জনসংখ্যা আত্মহত্যার মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।"
গবেষকদের মতে, মানুষের আয়ু বৃদ্ধি এবং জন্মহার হ্রাস বিশ্বব্যাপী বয়স কাঠামোকে প্রভাবিত করবে। আগামী দশকে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা ঐতিহাসিকভাবে অভূতপূর্ব বার্ধক্যের বাড়িয়ে তোলা অব্যাহত রাখবে বলেও তাঁদের অভিমত।
- with inputs from IANS
(এই প্রতিবেদন এক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে লিখিত। কোনো ব্যক্তির কোনোরকমের মানসিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন