৮০০ কোটি মানুষের গ্রহে পরিণত হলো আমাদের পৃথিবী। মঙ্গলবারই (১৫ নভেম্বর) এই জনসংখ্যায় পৌঁছেছে সৌরজগতের নীলগ্রহ। শুধু তাই নয় পরিসংখ্যান বলছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত জনসংখ্যার নিরিখে চীনকেও ছাপিয়ে যাবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ইউনাইটেড নেশন্স পপুলেশন ফান্ড (UNFPA)-র তরফ থেকে একটি ট্যুইট করা হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ‘৮০০ কোটি আশা। ৮০০ কোটি স্বপ্ন। ৮০০ কোটি সম্ভাবনা। আমাদের পৃথিবী এখন ৮০০ কোটি মানুষের বাড়ি’। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমরা চিন্তা, অবিশ্বাস, দুর্যোগ এবং দ্বন্দ্বে ভরা ৮০০ কোটির শক্তিশালী বিশ্ব গড়ে তুলছি’।
রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে, ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি হতে সময় লেগেছে ১২ বছর। ভবিষ্যতে ৯০০ কোটি জনসংখ্যা পৃথিবীর সময় লাগতে পারে সাড়ে ১৪ বছর। যখন জনসংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছায় তখন বিশ্বব্যাপী ৭০% মানুষ নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের অন্তর্গত ছিল। পরবর্তী ১০০ কোটি অর্থাৎ ৯০০ কোটি জনসংখ্যা ছাড়ালে শতাংশের পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ৯০।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারত ২০২৩ সালে পৃথিবীর প্রথম জনবহুল দেশে পরিণত হবে। কারণ ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চীনের থেকেও বেশি হয়েছে। ২০২২ সাল অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যা ১৪১ কোটির একটু বেশি। চীনের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি। গবেষকদের মতে ২০৫০ সালে ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১৭০ কোটির আশেপাশে। চীনের জনসংখ্যা হতে পারে প্রায় ১৩২ কোটি। UNFPA-র রিপোর্ট মোতাবেক ২০২২ সালের জনসংখ্যার নিরিখে ৬৮% ভারতীয়ের বয়স ১৫-৬৪ বছর। আর ৭% মানুষ ৬৫ বছর বা তার উর্ধ্বে।
রাষ্ট্রসংঘ এও পূর্বাভাস দিচ্ছে, আগামীতে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়ার মতো আফ্রিকান অনুন্নত দেশগুলি। পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপিন্সের মতো উন্নয়নশীল দেশও অগ্রণী ভূমিকা নেবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের তুলনায় চাষযোগ্য জমির সংখ্যা কমছে। ভবিষ্যতে খাদ্যাভাব, অর্থাভাব দেখা দিতে পারে। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন দরিদ্র মানুষেরা। সমাজের এক শ্রেণি সুখে থাকবে। অন্য শ্রেণি খুদার জ্বালায় দিন কাটাবেন। এখনই যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে আগামীতে পৃথিবীর বুকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন