সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফুল বদলেছেন মুকুল রায়। অর্থাৎ পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তাই তাঁকে বিপাকে ফেলার সব ধরনের কৌশল শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। শোনা যাচ্ছে, দল ছাড়ার অভিযোগে বিধানসভায় মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগী আইনে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, এই মুহূর্তে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পর বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর নেপথ্যে পুরো ঘটনার ব্লু প্রিন্ট সাজানোর কাজ চলছে। এমনটাই খবর তৃণমূলের অন্দরে। তাই অধিকারী দুর্গকে এবার পাল্টা নিশানা করে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। রবিবার বারাসাতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পাল্টা হুশিয়ারি দিয়ে কাকলী বলেন, 'দলত্যাগী আইন শুধু রাজ্যে নয় কেন্দ্রেও প্রযোজ্য আছে।'
কার্যত কাকলীর এই মন্তব্য নাম না করে অধিকারী দুর্গে আক্রমণ তা বলাই বাহুল্য। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে এক প্রচার মঞ্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, পিতা শিশির অধিকারী দলত্যাগ করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সেই তালিকায় আছেন সুনীল মন্ডল সহ আরো অনেকে।
কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। শুধু চিঠি দিয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে দলত্যাগীদের সাংসদ পদ বাতিলের দাবি জানানো হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যদিও তৃণমূলের সেই দাবি এখনও কার্যকর হয়নি করোনা পরিস্থিতির জেরে। উলটো দিকে মুকুল রায়কে নিয়ে বিজেপি যে জলঘোলা করতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন কাকলী।
পাশাপাশি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসনে প্রত্যাবর্তন করার পর থেকেই তাসের ঘরের মত ভাঙতে শুরু করেছে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যে সব দলত্যাগীদের ওপর ভর করে বিজেপি সোনার বাংলার কান্ডারী সাজিয়েছিল। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই তারা পুনরায় পুরনো দলে ফেরার তাগিদে সোশাল মিডিয়ায় বেসুরো সুর তুলেছেন।
যদিও দলনেত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে তেমনটাও নয়। কিন্তু যেন তেন প্রকারে দলত্যাগীরা তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। প্রতিদিন সেই তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে চলেছে। এ প্রসঙ্গে কাকলীর সাফ বক্তব্য, ' শুধু রাজীব ব্যানার্জী নয় তৃণমুল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া বহু নেতাই দলে ফিরতে চাইছেন। উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও বহু আবেদন জমা পড়েছে। সব ক্ষেত্রেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন