UN Women: ১১৩ দেশে কখনোই মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান ছিল না - রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষায় স্পষ্ট লিঙ্গ বৈষম্য

People's Reporter: ১ জানুয়ারী ২০২৪ এর হিসাব অনুসারে, মন্ত্রী পদের মাত্র ২৩ শতাংশে মহিলারা আছেন এবং ১৪১টি দেশে ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশেরও কম।
UN Women: ১১৩ দেশে কখনোই মহিলা রাষ্ট্রপ্রধান ছিল না - রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষায় স্পষ্ট লিঙ্গ বৈষম্য
প্রতীকী ছবি
Published on

আজ ২৪ জুনই ছিল ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর ওমেন ইন ডিপ্লোমেসি। এদিনই রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ওমেনস গ্লোবাল ডেটা অন ওমেন পলিটিক্যাল লিডারস ২০২৪। রাষ্ট্রসংঘ প্রকাশিত সমীক্ষার তথ্য অনুসারে বিশ্বজুড়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে মহিলারা অনেকটাই পিছিয়ে। যে সমীক্ষায় বিশ্ব কূটনীতিতেও প্রবল লিঙ্গ বৈষম্যের ছবি উঠে এসেছে।

ওই সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি সত্ত্বেও, মহিলারা এখনও ক্ষমতা এবং কূটনীতির অবস্থান থেকে অনেকাংশে বাদ পড়ছেন। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ স্তর এখনও পুরুষদের দখলে। ওই রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের ১১৩ টি দেশে কখনও কোনও মহিলা রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পাননি। বর্তমানে শুধুমাত্র ২৬টি দেশে মহিলারা নেতৃত্বে আছেন। ১ জানুয়ারী ২০২৪ এর হিসাব অনুসারে, মন্ত্রী পদের মাত্র ২৩ শতাংশে মহিলারা আছেন এবং ১৪১টি দেশে ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে মহিলাদের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশেরও কম। বিশ্বের ৭টি দেশের মন্ত্রিসভায় কোনো মহিলা প্রতিনিধিত্ব নেই।

কূটনীতি এবং বৈদেশিক বিষয়ে পুরুষদের এই আধিপত্য রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী মিশনেও দেখা গেছে, যেখানে মহিলাদেরও স্থায়ী প্রতিনিধি হিসাবে কম প্রতিনিধিত্ব দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত, নিউইয়র্কে ২৫ শতাংশ স্থায়ী প্রতিনিধি পদ, জেনেভায় ২৫ শতাংশ এবং ভিয়েনায় ৩৩.৫ শতাংশ পদে মহিলারা ছিলেন৷

ইউএন উইমেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সিমা বাহাউস বলেন, “আমাদের কাজ এই বিশ্বাসের দ্বারা পরিচালিত হয় যে মহিলারা যখন নেতৃত্ব দেন, তখন পৃথিবীর সব মানুষ এবং গ্রহের জন্য ভালো হয়। এই বছর যতগুলো দেশ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, আমাদের সকলকে অবশ্যই মহিলাদের প্রথমে রাখতে হবে। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শাসন ​​ও নেতৃত্বে মহিলাদের সমান অংশগ্রহণ সবার জীবনকে উন্নত করার চাবিকাঠি।”

নেতৃত্বের পদে মহিলাদের নির্বাচন ও নিয়োগ করা লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্ব আজ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবিলায় সম্মিলিত অঙ্গীকার প্রদর্শন করে। যেহেতু আমরা বেইজিং ঘোষণা এবং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনের ৩০ বছর পূর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছি, সেই মুহূর্তে ইউএন উইমেন মহিলাদের অধিকারের অগ্রগতির জন্য বিশ্বের সবচেয়ে প্রগতিশীল সংস্থা হিসেবে কাজ করে চলেছে। ক্ষমতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলের মাধ্যমেই এই ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in