কোভিড পরিস্থিতিতে এমনিতেই গত দু'বছরে কর্মহীনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে বেকারত্বের হার। দেশীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে যতই দাবি করা হোক না কেন, সেটা যে শুধুই কথার কথা, ফের তার নিদর্শন পাওয়া গেল সিএমআইইর সমীক্ষা রিপোর্ট। গত ডিসেম্বরে গোটা দেশের বেকারত্বের হার বেড়েছে ৭.৯ শতাংশ।
গত আগস্টে অবশ্য বেকারত্বের হার ছিল আরও বেশি ৮.৩ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্বেগ, ওমিক্রনের কাঁধে চেপে করোনা সংক্রমণ ইদানীং বাড়ছে। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় অর্থনীতি ফের যে ভাবে চলছে, তাতে বেকারত্বের হার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অগস্টের পরে উৎসবের মরসুম থেকে বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও কমেছিল। নভেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ শতাংশে। কিন্তু ডিসেম্বরেই ফের এক লাফে তা ৭.৯ শতাংশে পৌঁছে যায়। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৯.৩ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে কিছুটা কম, ৭.২৮ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামের দিকে মানুষের রোজগার হওয়ার মতো, যেমন ১০০ দিনের কাজ-সহ কিছু রোজগার প্রকল্প রয়েছে সরকারের। রবি ফসলের মরসুমে অনেকেই চাষাবাদ করছেন। ফলে গ্রামীন যুবদের কিছু না কিছু অর্থের সংস্থান হয়েছে। কিন্তু করোনার জেরে শহরের ছোট-মাঝারি ক্ষেত্র ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিপদ এখনও কাটেনি। তারই প্রভাব পড়েছে পরিসংখ্যানে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর একটি রিপোর্ট দেয়। তাতে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ছিল চার দশকে সর্বোচ্চ, ৬.১ শতাংশ। রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পরে মোদি সরকার রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার করে নেয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন