দেশজুড়ে চলতে থাকা বেকারত্বের প্রভাব এবার আইআইটি-তেও। দেশের সেরা কলেজের তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা আইআইটি বম্বেতে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোনও চাকরী পাননি ৩৬ শতাংশ পড়ুয়া। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত পোর্টাল সহ জাতীয় প্রাতিষ্ঠানিক মান নিয়ন্ত্রক কাঠামোয়।
২০২৪–এর প্লেসমেন্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আইআইটি বম্বের প্রাক্তনী এবং 'গ্লোবাল আইআইটি অ্যালুমনাই সাপোর্ট গ্রুপ'-র প্রতিষ্ঠাতা ধীরাজ সিং একটি পরিসংখ্যান তৈরি করেছেন। সেই তথ্য অনুযায়ী, এবার প্লেসমেন্টের জন্য প্রায় ২,০০০ জন পড়ুয়া নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এখনও পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ৭১২ জন চাকরি পাননি। গত বছরের তুলনায় এই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩ সালে প্লেসমেন্টের জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন ২,২০৯ জন পড়ুয়া, যার মধ্যে মাত্র ১,৪৮৫ জন পড়ুয়া চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ ৩২.৮ শতাংশ পড়ুয়া গত বছর চাকরি পাননি প্লেসমেন্টের মাধ্যমে। যদিও, যেহেতু মে মাস পর্যন্ত এই প্লেসমেন্ট চলে, তাই এখনও কিছু পড়ুয়ার কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে আইআইটি বম্বের তরফ থেকে অফিসিয়ালি এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দার প্রভাব এখানেও পড়েছে। তিনি এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “প্রতিষ্ঠানের তরফে আগেভাগেই যে স্যালারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা মেনে চাকরির প্রদানের প্রস্তাবে রাজি হতে পারছে না অধিকাংশ কোম্পানি। অনেক দরকষাকষির পরে তারা ক্যাম্পাসিংয়ে আসতে রাজি হয়েছে।“
ওই অধ্যাপকের কথায়, এবার কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ১০০ জন আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ সুযোগ পাননি। তাঁর কথায়, এই ধরণের ঘটনা প্রথম ঘটল। এই ঘটনার ফলে পড়ুয়াদের উপর মানসিক চাপ পড়ছে বলে মত তাঁর।
এই ঘটনায় মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর মত, “দেশে বেকারত্ব মেটানোর জন্য মোদীর কোন নীতিও নেই, নিয়তিও নেই।“ পাশাপাশি বেকারত্ব মেটাতে কংগ্রেসের 'যুব ন্যায়' প্রকল্প দেশে রোজগার ক্রান্তি আনবে বলেই দাবি করেন এই কংগ্রেস নেতা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন