Uttarakhand: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪, উদ্ধার সাড়ে ৩ হাজার, স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড়ো বিপর্যয় এড়াতে সঠিক সময়ে চার ধাম তীর্থযাত্রা স্থগিত করা হয়েছিল। সমস্ত এজেন্সিকে সময়মতো সক্রিয় করা হয়েছিল। যাত্রা আবার শুরু হয়েছে।
উদ্ধারকাজে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পঞ্চশূল ব্রিগেড
উদ্ধারকাজে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পঞ্চশূল ব্রিগেডছবি সূর্য কম্যান্ড আইএ ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫০০ আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১৬ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।

পার্বত্য রাজ্যে উদ্ধার ও ত্রাণ অভিযানে এনডিআরএফের ১৭টি দল, এসডিআরএফের ৭ টি দল, পিএসি-র ১৫ টি সংস্থা এবং ৫ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল থেকে কেন্দ্র উত্তরাখণ্ডকে ২৫০ কোটি টাকা সাহায্য পাঠিয়েছে। জলবন্দী এলাকায় কোনো রোগ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তাই ওইসব অঞ্চলে চিকিৎসক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং প্রবল বৃষ্টির কারণে এখনও পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, নদীগুলির জলস্তর ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার আকাশপথে রাজ্যের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরাখণ্ডের গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) গুরমিত সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।

পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অমিত শাহ। তিনি কেন্দ্রর পক্ষ থেকে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড়ো বিপর্যয় এড়াতে সঠিক সময়ে চার ধাম তীর্থযাত্রা স্থগিত করা হয়েছিল। সমস্ত এজেন্সিকে সময়মতো সক্রিয় করা হয়েছিল। যাত্রা আবার শুরু হয়েছে।

উত্তরাখণ্ড চার ধাম দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের মতে, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীতে হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু হয়েছে এবং শীঘ্রই জোশিমাঠ এবং পিপালকোটিতে পুনরায় পরিষেবা চালু হবে।

জোশীমঠ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিমাংশু খুরানা এবং উপ-কালেক্টর কুমকুম যোশী, যারা বুধবার বদ্রীনাথের অবরুদ্ধ রাস্তা পরিদর্শন করেছিলেন, তারা জানান যে জাতীয় মহাসড়ক ফের চালু করার আগে টাংরি, বেনাকুলি এবং লম্বাগড়ের মতো গ্রাম থেকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে হবে।

অবিরাম বৃষ্টির কারণে আলমোড়া হাইওয়ের একটি বড় অংশও সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হলদওয়ানি থেকে আলমোড়া এবং আলমোড়া থেকে রানীক্ষেত এবং বাগেশ্বর পর্যন্ত অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা যান চলাচলে প্রভাব ফেলেছে।

এদিকে, দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য ডঃ হরিশ গৌর জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের চার ধামের সব মন্দিরে প্রতিদিন পূজা চলছে। মন্দিরের গেট খোলার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ তীর্থযাত্রী চার ধামে পৌঁছেছেন।

- with Agency Input

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in