টোকিও অলিম্পিক্সে দেশের জন্য রুপো নিশ্চিত করেছেন কুস্তিগীর রবি কুমার দাহিয়া। ফাইনালে জয়ী হলে তাঁর হাত ধরে সোনা পাবে দেশ। অথচ সেই রবি দাহিয়ার গ্রামে নেই কোনো হাসপাতাল। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যায় বড়জোর ৬ ঘন্টা। পানীয় জলেরও সেভাবে কোনো ব্যবস্থা নেই।
রবি দাহিয়ার অলিম্পিকে পদক জয়ে গ্রামবাসীরা এখন আশা করছেন হাসপাতাল এবং নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের তাঁদের যে দীর্ঘদিনের দাবি রয়েছে, এবার হয়তো তাঁদের সেই দাবি পূরণ হবে। সাংবাদিকদের সামনেও এই আশার কথা শুনিয়েছেন রবি দাহিয়ার বাবা রাকেশ দাহিয়া।
হরিয়ানার সোনেপাত হাইওয়ে থেকে ১০ কিমি দূরে নাহারি নামক একটি গ্রামে থাকেন টোকিও অলিম্পিক্সে ফ্রি স্টাইল কুস্তির পুরুষদের ৫৭ কেজি বিভাগের ফাইনালে ওঠা রবি দাহিয়া। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখানে দিনে বড়জোর ২ ঘন্টা এবং রাতে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যায়।
সাংবাদিকদের সামনে রাকেশ দাহিয়া বলেন, "এখন যে একটি পদক এসেছে, আমি নিশ্চিত এবার একটি হাসপাতাল হবে এখানে। গ্রামের মানুষ পানীয় জল ও বিদ্যুতের নিয়মিত সরবরাহের জন্য এখনো অপেক্ষা করছে। আমি নিশ্চিত এবার পরিস্থিতি বদলে যাবে।"
সাংবাদিকদের রাকেশ দাহিয়া জানিয়েছেন আজকের দিনটা তাঁর কাছে দিওয়ালির মতো। যতবার টিভিতে তাঁর ছেলের খেলার রিপ্লে হাইলাইটস দেখাবে, ততবার তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আশাবাদী ফাইনালে জিতে তাঁর ছেলে দেশের জন্য সোনা আনবে। তিনি বলেন, "মনে হচ্ছে আজকে দিওয়ালি। রবি হরিয়ানা, আমাদের গ্রাম নাহরি, দেশকে গর্বিত করেছে। আগামীকাল ইতিহাস লেখা হবে। আমাদের জন্য সোনা আনবে ও।"
আগামীকাল ফাইনাল খেলতে নামবেন রবি দাহিয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন