জাতীয় শিক্ষানীতি ও কৃষি আইন দুটোই জাতির মেরুদণ্ডে আঘাত করার জন্য যথেষ্ট। কৃষকদের জন্য যেমন কৃষিজাত পণ্য বিপণন কমিটি জীবন রেখা তেমনই সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে সরকারি শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাণকেন্দ্রের মত। আর এই দু'টি ক্ষেত্রেই গা জোয়ারি পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এইভাবেই তোপ দাগলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক পি সাইনাথ। তাঁর কথায়, কৃষক শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার লড়াই যেভাবে রুখে দেওয়া হয়েছে, তা আসলে একটা ফর্মুলা। রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন দেখলো দেশ। আর এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে একজোট হয়ে।
এই গণকনভেনশনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই দুর্বার করার অঙ্গীকার করেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। কনভেনশনে ছিলেন অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়েক, শিল্পী কামাল চৌধুরী, লেখিকা মীরাতুন নাহার, ঐশী ঘোষ- সহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা ব্যক্তিত্বরা।
শান্তিনিকেতনের মাটিতে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন, গেরুয়াকরণের মরিয়া প্রয়াস চলছে বলে অভিযোগ। বিশ্বভারতীতে আজ কন্ঠরোধ নিয়মে পরিণত হয়েছে। পি সাইনাথের কথায়, কর্পোরেট মিডিয়ার পরামর্শে অতিমারী সংকটকে কাজে লাগিয়ে কৃষি আইন, জাতীয় শিক্ষানীতি পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। সবাই ভেবেছিল বাইরে বেরিয়ে কেউ প্রতিবাদ করবে না। কিন্তু ওদের ভুল ভেঙে দিয়েছে কৃষক আন্দোলন। তাই আন্দোলন, লড়াই দুর্বার করার প্রয়োজন একযোগে, একসঙ্গে। প্রত্যাহার করতে হবে আইন। বন্ধ করতে হবে জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রয়োগ।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জেএনইউয়ের অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়ক কনভেনশনে তাঁর ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন, হিটলার তাঁর সময় সাত কোটি জার্মানবাসীর দুর্দশার জন্য পাঁচ লক্ষ ইহুদিকে দায়ী করেছিলেন। আমাদের দেশে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনের নমুনা হিসেবে একইভাবে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা চলছে সংখ্যালঘুদের উপর। তার ফলেই সিএএ-এনআরসি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন