চলতি আর্থিক বছর শেষ হতে তিন মাসেরও কম সময় বাকি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার পঞ্চদশ অর্থ কমিশন বরাদ্দের অধীনে রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়ন কাজের জন্য প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় তহবিলের প্রায় ৫০ শতাংশ এখনও ব্যয় করতে পারেনি।
রাজ্য সরকারের তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩-এর চলতি আর্থিক বছরে পশ্চিমবঙ্গের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অধীনে গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে কেন্দ্রীয় তহবিলের মোট ৪,৮৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত, সেই মোট পরিমাণের মধ্যে মাত্র ২,৪০২ কোটি টাকা, যা মোট পরিমাণের ৪৮.৫৪ শতাংশ, ব্যয় করা যেতে পারে।
বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে, রাজ্যের পঞ্চায়েত বিষয়ক ও গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বর্তমান কাজে গতি আনতে বিভাগীয় আমলা, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পঞ্চায়েত কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত বৈঠক করছেন যাতে যতটা সম্ভব অর্থ বছরের শেষ নাগাদ ব্যয় করা যেতে পারে।
রাজ্য সরকারের সূত্র অনুসারে, বর্তমান পরিস্থিতি এতটা সংকটজনক হত না, যদি বর্তমান প্রকল্পগুলিতে কাজের একটি অভিন্ন গতি আর্থিক বছরের শুরু থেকেই বজায় থাকত।
রাজ্য পঞ্চায়েত বিষয়ক ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ ইতিমধ্যেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দিয়েছে যে তারা তাদের জেলাগুলিতে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তিন স্তরের সাধারণ বডি মিটিং করবে এবং ১০ জানুয়ারির মধ্যে পরিকল্পিত প্রকল্পগুলি এবং তাদের পিছনে আনুমানিক ব্যয় চূড়ান্ত করবে। দপ্তরের নির্দেশ অনুসারে বিভাগ, বাথরুম, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বেশি নজর দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের এক সিনিয়র আমলা জানিয়েছেন, "বাকি ৫০ শতাংশ তহবিল আগামী তিন মাসের মধ্যে খরচ করে ফেলা যাবে এটা ভাবা সঠিক হবে না। তবে হ্যাঁ, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তিন স্তরের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সঠিক সমন্বয়ে কাজ করলে একটা বড়ো অংশ খরচ করা যেতে পারে। জেলা আমলাতন্ত্রের সাথে সমন্বয় রক্ষা করে পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভূমিকা এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
উল্লেখ্য, প্রতি আর্থিক বছরে অর্থ কমিশনের মোট বরাদ্দের ৭০ শতাংশ দেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েতে। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ থাকে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের জন্য। মোট অর্থের ৬০ শতাংশ পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা, শৌচালয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার খাতে খরচ করা হয়। বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ খরচ করা হয় রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট, ছোট সেতু তৈরি এবং মেরামতি এবং আলোকায়িত করার মতো বিভিন্ন খাতে।
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন