ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তী এবি ডি ভিলিয়ার্স। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন পোস্টের মাধ্যমে ডি ভিলিয়ার্স জানান, "এটি একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিলো। তবে আমি সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" ১৭ বছরের কেরিয়ারে প্রোটিয়াদের হয়ে ১১৪টি টেস্ট, ২২৮টি ওয়ানডে এবং ৭৮টি টি-২০ খেলেছেন ভিলিয়ার্স। আইপিএলে আরসিবির হয়ে দশ মরশুমে দাপট দেখিয়েছেন প্রোটিয়া সুপারস্টার।
প্রোটিয়া মহাতারকা তাঁর পোস্ট লিখেছেন," আমার বড় ভাইদের সঙ্গে বাড়ির পেছনের উঠোনের ম্যাচগুলো থেকে শুরু করে আমি যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, সবই খেলেছি আনন্দ ও উৎসাহ নিয়ে। এই ৩৭ বছর বয়সে এসে, সেই শিখা উজ্জ্বল হয়ে জ্বলছে না।"
প্রাক্তন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক আরও বলেন, " দ্য টাইটান্স কিংবা প্রোটিয়া কিংবা আরসিবি অথবা বিশ্বজুড়ে খেলা হোক না কেন, খেলাটি আমাকে অকল্পনীয় অভিজ্ঞতা ও সুযোগ দিয়েছে এবং আমি সবসময় কৃতজ্ঞ থাকব। আমি প্রত্যেক সতীর্থ, প্রতিপক্ষ, কোচ, ফিজিও স্টাফ সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাদের সাথে একই সাথে পথ চলেছি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত কিংবা যেখানেই খেলেছি সবার যে সমর্থন পেয়েছি তাতে আমি সম্মানিত।"
এছাড়াও ডি ভিলিয়ার্স তাঁর পোস্টে লেখেন," শেষে বলবো, আমি জানি আমার পরিবার, বাবা-মা, ভাই, আমার স্ত্রী ড্যানিয়েল ও সন্তানেরা যে ত্যাগ স্বীকার করেছে সেটা ছাড়া কিছুই সম্ভব হতো না। আমি আমাদের জীবনের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য উন্মুখ আমি, যখন আমি সত্যিই তাদের সবার আগে রাখব।"
ডি ভিলিয়ার্সের অবসর ঘোষণার সাথে সাথেই এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে আরসিবির সাথেও সম্পর্ক শেষ হয়েছে তাঁর। ২০১১ সালে আরসিবির হয়ে খেলেছেন দশটি মরশুম। এ প্রসঙ্গে এবি জানান," আরসিবিতে আমার দীর্ঘ ও অত্যন্ত সুন্দর সময় কেটেছে। ছেলেদের ছেড়ে যাওয়া অত্যন্ত তিক্ত। অবশ্যই, এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছিল, কিন্তু অনেক চিন্তাভাবনার পরে, আমি আমার বুট জোড়া তুলে রেখে পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আরসিবি ম্যানেজমেন্ট, আমার বন্ধু বিরাট কোহলি, সতীর্থ, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, সমর্থক এবং পুরো আরসিবি পরিবারকে এই সমস্ত বছর ধরে আমাকে বিশ্বাস দেখানোর জন্য এবং সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন